হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র
কয়েক ঘণ্টার নাটকে হার্দিক পাণ্ড্যকে গুজরাত টাইটান্সের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জানা গিয়েছিল, হার্দিকের মূল্য ১৫ কোটি টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, ১৫ নয়, হার্দিককে কিনতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে মুকেশ অম্বানীর দলকে। কেন?
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিকানার পার্থক্যের কারণে বেশি টাকা দিতে হয়েছে মুম্বইকে। রোহিত শর্মাদের দলের মালিক একমাত্র অম্বানীরা। সেখানে অন্য কোনও অংশীদার নেই। কিন্তু গুজরাতের মালিক সিভিসি ক্যাপিটালস একটি ইনভেস্টমেন্ট সংস্থা। সেখানে প্রায় ৪০টি কোম্পানির লগ্নি রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই গুজরাতের মালিক। ফলে গুজরাত থেকে টাকা দিয়ে কোনও ক্রিকেটার কিনতে হলে ট্রান্সফার ফি বাবদ অনেক বেশি টাকা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, হার্দিককে কিনতে ১৫ কোটি টাকার পরে ট্রান্সফার ফি বাবদ আরও অনেক টাকা দিতে হয়েছে মুম্বইকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে তাদের। এই বিষয়ে মুম্বই বা গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি অবশ্য মুখ খোলেনি। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে এই টাকার অঙ্ক নিয়েই মুম্বই ও গুজরাতের মধ্যে আলোচনা চলছিল। সেই কারণে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঠিক হয়নি হার্দিকের ভবিষ্যৎ। নিজেদের ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকায় হার্দিককে রেখেছিল গুজরাত। তার পরেই চুক্তি ঠিক হওয়ায় হার্দিক গিয়েছেন মুম্বইয়ে।
মুম্বইয়ে যাওয়ার পরে হার্দিককে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক চলছে। অনেকে বলছেন, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। আবার কারও মতে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
যদিও এত টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে যাওয়ার পরেও হার্দিকের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁর পায়ের চোট কতটা সেরেছে তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তিনি আদৌ আইপিএলের আগে সুস্থ হতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ১০০ কোটি টাকা দিয়ে হার্দিককে নেওয়ার পরে যদি তিনি খেলতে না পারেন তা হলে সেটা মুম্বইয়ের কাছে বড় ধাক্কা হবে।