চহালের সঙ্গে বিষ্ণোই। ছবি: টুইটার।
ভারতীয় ক্রিকেটের তরুণ স্পিনারদের মধ্যে সব থেকে সম্ভাবনাময় ধরা হচ্ছে রবি বিষ্ণোইকে। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আইপিএলেও ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলে। বিষ্ণোই নিজে অবশ্য আরও শিখতে চান। শিখতে চান আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের কাছে।
বাঁহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বিষ্ণোইকে বেশি বিপজ্জনক মনে করা হয়। তাঁর বলের গতি, ফ্লাইট এবং স্পিন করানোর দক্ষতা সমস্যায় ফেলতে পারে যে কোনও ব্যাটারকেই। অথচ তিনি চেয়েছিলেন জোরে বোলার হতে। ক্রিকেট শুরু করেছিলেন জোরে বোলার হিসাবেই। তিনি বলেছেন, ‘‘১১-১২ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করার সময় জোরে বল করতাম। পরে লেগ স্পিনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। ক্রিকেটের এই শিল্পটা ভাল লেগে যায়।’’
এক সাক্ষাৎকারে বিষ্ণোই বলেছেন, তাঁর ছোটবেলার দুই কোচই সব কিছু। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার দুই কোচই আমার বোলিংয়ের সব কিছু। মা-বাবা সব সময় ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহিত করতেন। যদিও আমাদের দেশে সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, খেলাধুলো করলে ভবিষ্যৎ ভাল হয় না। আমার কোচেরা সব সময় পাশে থেকেছেন। ওঁদের অবদান প্রচুর। কোচেরা আমার প্রতিভা নিয়ে মা-বাবাকে বোঝানোর পর ওঁরা আমাকে আরও বেশি উৎসাহ দিতে শুরু করেন।’’
আইপিএলের অভিজ্ঞতা কতটা সাহায্য করেছে? বিষ্ণোই বলেছেন, ‘‘আইপিএল অনেক কিছু শিখিয়েছে। তার আগে মূলত বয়সভিত্তিক ক্রিকেটই খেলতাম। সেখানে সকলেই সমবয়সি বা বয়সে ছোট থাকত। আইপিএলে বয়সের কোনও বাধা নেই। সিনিয়রদের থেকে বিদেশি ক্রিকেটারদের থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকে। সাজঘরে সকলের থেকেই কিছু না কিছু শেখা যায়।’’
নিজের স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার। বিষ্ণোই বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের রশিদ ভাইয়ের সঙ্গে বল করতে চাই। শিখতে চাই কী ভাবে জুটি তৈরি করে উইকেটের দু’দিক থেকে আক্রমণ করা যায়। যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে বল করার অভিজ্ঞতা অবশ্য দারুণ। এখন বিশ্বের সেরা পাঁচ জন স্পিনারের মধ্যে রয়েছে চহাল।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি বিষ্ণোই। যদিও তাঁকে স্ট্যান্ড বাই তালিকায় রেখেছেন জাতীয় নির্বাচকরা। তা নিয়ে আক্ষেপ নেই বিষ্ণোইয়ের। তিনি শুধু চান আরও শিখতে।