মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মনোজদের জয় সময়ের অপেক্ষা। ফাইল ছবি।
রঞ্জি সেমিফাইনালের চতুর্থ দিনেই বাংলার ফাইনালে ওঠা একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শনিবার খেলার শেষে বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ২৭৯ রান। তখনই গত বারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের থেকে ৫৪৭ রানে এগিয়ে ছিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। রবিবার বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ২৭৯ রানে। অর্থাৎ শেষ দিন জয়ের জন্য মধ্যপ্রদেশকে করতে হবে ৫৪৮ রান।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার প্রদীপ্ত প্রামাণিক (৬০) এবং ঈশান পোড়েল (১)। রবিবার চতুর্থ বলেই আউট হয়ে গেলেন ঈশান। কোনও রান আর যোগ হয়নি রবিবার সকালে। বাংলা চেষ্টা করতে পারে মধ্যপ্রদেশের ১০ উইকেট তুলে সরাসরি ম্যাচ জিততে। তা না হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে ফাইনালে পৌঁছে যাবে বাংলা।
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বড় রান তোলে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন অনুষ্টুপ। ৮০ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু তাঁর এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রিভিউ নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই রঞ্জিতে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামির শতরানে ভর করে ৪৩৮ রান করে তারা। মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭০ রানে। আকাশ দীপ একাই নেন ৫ উইকেট। বাংলার কাছে সুযোগ ছিল মধ্যপ্রদেশকে ফলো-অন করানোর। কিন্তু বাংলা ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করাটাকেই প্রধান হিসাবে দেখে। আবার ব্যাট করতে নামেন অভিমন্যুরা।
ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে পারে বাংলা। প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে নিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে মাত্র ৩ রানের লিড পেয়েছে কর্নাটক। শেষ দিনে তাদের পক্ষে বড় রানের লিড দিয়ে সৌরাষ্ট্রকে অল আউট করা কঠিন। ফলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা সৌরাষ্ট্রের সম্ভাবনাই বেশি। ২০১৯-২০ মরসুমের মতো আবার রঞ্জি ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলা এবং সৌরাষ্ট্র। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে রঞ্জির ফাইনাল।