রামচন্দ্র, দ্রাবিড় দ্বন্দ্ব। —ফাইল চিত্র
রাহুল দ্রাবিড় এক বার ঘুরিয়ে চুপ করতে বলেছিলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে। নিজের বইয়ে সেই ঘটনার উল্লেখ করেছেন রামচন্দ্র। তাঁর দেওয়া ক্রিকেটীয় উপদেশ শুনে রামচন্দ্রকে ঘুরিয়ে ইতিহাস নিয়েই থাকতে বলেছিলেন দ্রাবিড়। এমনটাই জানিয়েছেন লেখক।
স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে জনপ্রিয় দ্রাবিড় ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিড অফে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই ঘটনার উল্লেখ করে দ্রাবিড়ের উদ্দেশে রামচন্দ্র লেখেন, ‘ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে আপনি অন্যতম সেরা ব্যাটার। যে কোনও ধরনের ক্রিকেটে সেরা স্লিপ ফিল্ডারও। আপনার সেখানেই ফিল্ডিং করা উচিত। আমি বুঝতে পারছি বোলারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনি ওখানে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আমার মনে হয় স্লিপই আপনার জায়গা, দলের ওখানেই প্রয়োজন আপনাকে। ভারতের কেউই আপনার ওই জায়গা নিতে পারবে না।’
রামচন্দ্রের সেই কথার উত্তরে দ্রাবিড় লিখেছিলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের ইতিহাস গাঁধীর পরেই থেমে গিয়েছে মনে হয়। ৬০ বছর পর সেখান থেকেই আবার শুরু হচ্ছে। আমি এখনও অবধি ১৮০ পাতা পড়েছি। এখনও অনেকটা বাকি। সেই সম্পর্কেই কথা বলতে চাইব।’
রামচন্দ্রের মতে দ্রাবিড়ের এই উত্তরের অর্থ যে, এই বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন না তিনি। ভদ্র ভাবে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের হবু কোচ। রামচন্দ্র লেখেন, ‘দ্রাবিড়কে করা আমার সেই মেলটি অনভিপ্রেত ছিল, ক্রিকেট সম্পর্কে কোনও উপদেশ শুনতে রাজি ছিলেন না, এমনটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কব্জির মোচড়ে চার মারার মতো ছিল সেই উত্তর। যতটা ভদ্র ভাবে সম্ভব উনি আমাকে চুপ করতে বলেছিলেন।’
দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে স্বার্থ-সঙ্ঘাতের অভিযোগ এনেছিলেন রামচন্দ্র। একই সময় আইপিএল-এর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মেন্টর এবং ভারতের এ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন দ্রাবিড়। সেই সময় এই অভিযোগ আনেন রামচন্দ্র। উত্তরে দ্রাবিড় বলেন, “বিসিসিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী আমি কোনও স্বার্থের সঙ্ঘাত করছি না। তবে মাঝপথে যদি নিয়ম পাল্টে গিয়ে থাকে তা হলে আমাকে দোষ দেওয়া অনুচিত।”