শতরানের পর উল্লাস বাংলার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের। ছবি: পিটিআই।
নৈশপ্রহরী হিসাবে নামানো হয়েছিল তাঁকে। সেই সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাংলাকে ভাল জায়গায় নিয়ে গেলেন। শতরান করেছেন বাংলার এই বোলার। তাঁর ব্যাটে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানের লিড পায় বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে তারা এগিয়ে ৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছে পঞ্জাবের।
রঞ্জির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে শেষ হয় পঞ্জাব। বল হাতে ৪ উইকেট নেন সূরজ। ব্যাট হাতেও তাঁকে দরকার পড়ে বাংলার। প্রথম দিনের শেষ দিকে ৪ উইকেট পড়ার পরে ছ’নম্বরে নৈশপ্রহরী হিসাবে নামানো হয়েছিল সূরজকে। দ্বিতীয় দিন সেই সূরজই দুর্দান্ত ব্যাট করলেন। প্রথমে সুমন্ত গুপ্ত ও তার পর অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। টপ অর্ডার রান না পেলেও মিডল অর্ডার রান পেয়েছে। সুমন্ত ৫৫ ও অভিষেক ৫২ রান করেছেন।
ব্যাটারেরা আউট হলেও সূরজকে আউট করতে পারছিলেন না পঞ্জাবের বোলারেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরান করেন সূরজ। গত বছর রঞ্জিতে একটু অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি। সূরজ যে ব্যাট করতে পারেন তা এই ম্যাচে দেখালেন। ১৮৫ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে মহম্মদ কাইফ ২৭ রান করেন। ৩৪৩ রানে শেষ হয় বাংলার ইনিংস। ১৫২ রানের লিড পায় তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও চাপে পড়ে পঞ্জাব। ওপেনার বিশ্বপ্রতাপ সিংহ ২৩ রান করলেও প্রথম তিন ব্যাটারের বাকিরা রান পাননি। দলের ইনিংস সামলান অনমোলপ্রীত সিংহ ও প্রভসিমরন সিংহ। দ্বিতীয় দিনের শেষে পঞ্জাবের রান ৩ উইকেটে ৬৪। বাংলার থেকে এখনও ৮৮ রান পিছিয়ে তারা। এখন দেখার তৃতীয় দিন পঞ্জাব কত রান করতে পারে।