পৃথ্বী শ। —ফাইল চিত্র।
সব সময় রান না পেলেও নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং পরিবর্তন করতে চান না পৃথ্বী শ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পক্ষে তাঁর যুক্তি, তিনি চেতেশ্বর পুজারার মতো ব্যাট করতে পারবেন না। তাই ভারতীয় দলে সুযোগ না হলেও খেলার ধরনও বদলাবেন না।
২০১৮ সালে পৃথ্বীর নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটারকে তখনই ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী কালে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি। গত দু’বছর ভারতীয় দলের হয়ে খেলেননি পৃথ্বী। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। আগ্রাসী ব্যাটিং সব সময় সাফল্য দিচ্ছে না। আইপিএলের বেশ কিছু ম্যাচে উইকেট ছুড়ে দিয়েছেন। সমালোচনা হচ্ছে। তবু নিজের ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন করতে নারাজ পৃথ্বী।
কয়েক মাস আগে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে সুযোগ পেলেও খেলার সুযোগ পাননি। তবু অনড় পৃথ্বী। মুম্বইয়ের ব্যাটার বলেছেন, ‘‘হয়তো সব কিছু আমার পক্ষে আসছে না। আমি চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগত ভাবে নিজের খেলা পরিবর্তন করতে চাই না। আমাকে আর একটু ভাল ব্যাট করতে হবে। আর একটু বুদ্ধি করে খেলতে হবে। চেষ্টা করি বোলার অনুযায়ী ব্যাট করার। লক্ষ্য থাকে বোলারদের মনঃসংযোগ নষ্ট করার। বিশেষ জায়গা বল ফেলতে বাধ্য করার চেষ্টা করি। আমার পছন্দ মতো বল করানোর চেষ্টা করি। ওদের পছন্দ মতো নয়।’’
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পৃথ্বী আরও বলেছেন, ‘‘এ ভাবে খেলেই এত দূর আসতে পেরেছি। এমন করেই খেলতে চাই। এখন যদি কোনও পরিবর্তন করা চেষ্টা করি, সেটা আমার জন্য ভাল না-ও হতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি, আমার পক্ষে চেতেশ্বর পুজারা স্যরের মতো ব্যাট করা সম্ভব নয়। আবার উনিও আমার মতো করে খেলতে পারবেন না। আমি ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করি, যেটা আমাকে এতটা পথ নিয়ে এসেছে। আগ্রাসী ব্যাটিং করার জন্য সব কিছু ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন। তাই খেলার ধরন বদলাতে চাই না। সেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হোক বা যে ক্রিকেটই খেলি। সব ধরনের ক্রিকেটে একই মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করি। লাল বলের ক্রিকেটে সব সময় চালিয়ে না খেললেও মানসিকতা একই রকম থাকে আমার।’’
আগামী দিনে ভারতীয় দলে ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তরুণ ওপেনিং ব্যাটার। দলীপ ট্রফি ফাইনালের পর তিনি ইংল্যান্ডে যাবেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। নর্দাম্পটনশায়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পৃথ্বী।