ICC Champions Trophy 2025

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আরও চাপে পাকিস্তান, আইসিসির প্রস্তাব ঘিরে মতবিরোধ পাক কর্তাদের মধ্যেই

বিভক্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইব্রিড মডেল নিয়ে আপত্তি রয়েছে কর্তাদের একাংশের। তাঁদের মতে, পিসিবি চেয়ারম্যানের সুর নরম করা ঠিক হবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫৩
picture of Champions Trophy

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে বিভক্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা। প্রতিযোগিতার হাইব্রিড মডেল মানা নিয়ে আপত্তি রয়েছে কর্তাদের একাংশের। অন্য অংশ আবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সঙ্গে বিরোধে না-যাওয়ার পক্ষপাতী।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠানো হবে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চাইছে আইসিসি। সে ক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচগুলি হবে দুবাইয়ে। প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলি হবে পাকিস্তানে। ভারতীয় দল সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠলে, সেই ম্যাচগুলিও হবে দুবাইয়ে। পরিবর্তে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে কলম্বোয় খেলতে দিতে চায় আইসিসি। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ, ভারতে দল পাঠাতে হবে না পিসিবিকে। একই সঙ্গে ২০২৭ সালের পর মহিলাদের ক্রিকেটের কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পাকিস্তানকে দেওয়া হবে।

আইসিসির এই প্রস্তাবে সায় নেই পিসিবি কর্তাদের একাংশের। তাঁদের মতে, পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভির পিছিয়ে আসা উচিত হবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সম্পূর্ণ পাকিস্তানে আয়োজনের ব্যাপারে অনড় থাকা উচিত তাঁর। হাইব্রিড মডেলের বিরোধী পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফও। তিনি বলেছেন, ‘‘মহিলাদের কোনও প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিকল্প হতে পারে না। এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া উচিত হবে না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এখন বলা হচ্ছে ২০২৭ বা ২০২৮ সালের মহিলাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাকিস্তানকে দেওয়া হবে। অনেকে খুশি হতে পারেন। আইসিসির দুটো প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবতে পারেন তাঁরা। কিন্তু ওই প্রতিযোগিতা কি একই মানের? তার মানে তো ২০২৬ সালে পাকিস্তান দল ভারতে গেলে তবে, ২০২৭ সালে ভারতের মহিলা দল পাকিস্তানে আসবে!’’

পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আইসিসি কি আমাদের ললিপপ দিতে চাইছে? সম্মতি জানানোর অর্থ আর একটা প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার আশ্বাস। অথচ লিখিত কিছু দেওয়া হবে না। তাতে পাকিস্তানের লাভ কী? আগামী বছরের এশিয়া কাপ হলেও একটা কথা। পিসিবির দাবি করা উচিত। মহিলাদের বিশ্বকাপ বা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করে পিসিবির কোনও লাভ হবে না। পিসিবি এই ললিপপটা নিলে নিজেরই ক্ষতি করবে।’’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যে সম্পূর্ণ পাকিস্তানে আয়োজন করা সম্ভব নয়, তা পিসিবি কর্তাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। তবু পিসিবি কর্তারা আইসিসির উপর নানা শর্ত দিয়ে পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টা করে চলেছেন। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আইসিসি। কম পক্ষে তিন বার বাতিল হয়েছে আইসিসির বোর্ড বৈঠক।

Advertisement
আরও পড়ুন