আউট হয়ে মাঠ ছাড়ছেন মহম্মদ রিজওয়ান (বাঁ দিকে)। পাশে হাসান আলি। ছবি: পিটিআই
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা হয়তো অসম্ভব ছিল। অন্তত পক্ষে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু টস হারার পরে বোধহয় খেলার ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছিল বাবর আজ়মদের। ইডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৩ রানের লজ্জার হার হল বাবরদের। কলকাতা থেকেই খালি হাতে দেশে ফিরতে হবে পাকিস্তানকে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। এই বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডেরও কিছু পাওয়ার ছিল না। কিন্তু শেষ ম্যাচ মাথা উঁচু করে শেষ করতে চেয়েছিল তারা। ইংল্যান্ডের ওপেনারেরা ভাল শুরু করেন। দাউইদ মালান ৩১ রানে আউট হন। জনি বেয়ারস্টো করেন ৫৯ রান।
মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন জো রুট ও বেন স্টোকস। দ্রুত রান করতে থাকেন তাঁরা। পাকিস্তানকে এই ম্যাচেও ভোগাল মাঝের ওভারে তাদের বোলিং। উইকেট নিতে পারলেন না দলের স্পিনারেরা। কোনও রকম সমস্যা হল না ইংরেজ ব্যাটারদের। রুট ৬০ রান করেন। এই ম্যাচেও শতরানের সুযোগ ছিল স্টোকসের। কিন্তু ৮৪ রান করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় রান খানিকটা কম হয় ইংল্যান্ডের। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রানে শেষ করে তারা।
এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে যেতে হলে ৪০ বলে ৩৩৮ রান করতে হত বাবরদের, যা অসম্ভব ছিল। তবে মনে হয়েছিল, অন্তত জেতার চেষ্টা করবেন বাবরেরা। কিন্তু সেটাও হল না। দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক শূন্য ও ফখর জমান ১ রানে আউট হলে। বাবর করলেন ৩৮ রান। পাক অধিনায়ক আউট হতেই ইডেনের গ্যালারি ফাঁকা হতে শুরু করে। ৩৬ রানের মাথায় মহম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পরে আরও সমর্থক মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র আঘা সলমন ৫১ রান করেন। বাকিরা আদিল রশিদ ও মইন আলির স্পিনের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ ও মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র কয়েকটি বড় শট খেলে দর্শকদের বিনোদন দেন। তবে তাতে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। পাকিস্তানের হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভারে ২৪৪ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।