(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দুই অধিনায়কের গলায় দু’রকম সুর। এক জন শান মাসুদ। পাকিস্তানের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। অন্য জন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম অধিনায়ক হিসাবে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে হারের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত মাসুদ। শান্তর আবার মনে পড়ছে আগের দিন রাতের কথা।
ম্যাচ শেষে মাসুদ জানিয়েছেন, দু’টি কারণে হারতে হয়েছে তাঁদের। পাক অধিনায়ক বলেন, “অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। তবে দুটো কথা মাথায় আসছে। এই পিচে চার জন পেসার নিয়ে নামা উচিত হয়নি। আমরা পিচ বুঝতে পারিনি। টেস্টের আগে ৮-৯ দিন বৃষ্টি হয়েছিল। ভেবেছিলাম পিচ থেকে পেসারেরা সাহায্য পাবে। কিন্তু উল্টো হয়েছে। পিচ থেকে পেসারেরা কোনও সাহায্য পায়নি। এক জন বেশি স্পিনার খেলালে হয়তো ভাল হত। প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার দেওয়াও উচিত হয়নি। ভেবেছিলাম, তাড়াতাড়ি ইনিংস শেষ করলে হয়তো ম্যাচের ফয়সালা হবে। কিন্তু পঞ্চম দিন পিচ এই রকম হয়ে যাবে ধরতে পারিনি।”
চাপের মুখে ব্যাটারেরা ভুল করেছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অধিনায়ক। এই হারের শিক্ষা আগামী দিনে কাজে লাগাতে চান তিনি। মাসুদ বলেন, “আমরা ড্রয়ের জন্য খেলিনি। চেয়েছিলাম দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাল খেলতে। কিন্তু চাপের মুখে ব্যাটারেরা ব্যর্থ হয়েছে। এই ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, তা পরের ম্যাচে করতে চাই না। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
পাকিস্তানের অধিনায়ক যখন হারের কারণ খুঁজছেন, তখন বাংলাদেশের অধিনায়ক আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না। ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, “এটা খুব বড় জয়। শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিল। ও বলছিল, ম্যাচ জিততে পারলে খুব ভাল হত। সেটাই হয়েছে। নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। শেষ ১০-১৫ দিন ভাল প্রস্তুতি করেছি। সেটাই কাজে লেগেছে।”
এই জয়ের কৃতিত্ব বিশেষ কাউকে নয়, গোটা দলকে দিচ্ছেন শান্ত। তিনি বলেন, “শাদমান প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাট করেছে। ব্যাটে-বলে ভাল খেলেছে মেহেদি। আর মুশফিকুরের কথা আর কী বলব? ও নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। শাকিবও নিজের কাজ করেছে। এই জয়ের কৃতিত্ব আমি আলাদা করে কাউকে দেব না। দলের সকলে মিলে ভাল খেলেছে বলেই জিতেছি আমরা।”