জয়ের উচ্ছ্বাস পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। ছবি: এএফপি।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় জয় নিশ্চিত করল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মহম্মদ রিজ়ওয়ানের দল ৪৯.৫ ওভারে করে ৩২৯ রান। জবাবে ৪৩.১ ওভারে ২৪৮ রানেই শেষ হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার দলের ইনিংস। ৮১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ় জয়ও নিশ্চিত করে নিল পাকিস্তান।
টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাভুমা। সেই সুযোগ কাজে লাগান বাবর আজ়মেরা। দুই ওপেনার সাইম আয়ুব (২৫) এবং আবদুল্লা শফিক (শূন্য) রান না পেলেও তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দলকে ভরসা দেন বাবর এবং রিজ়ওয়ান। তাঁদের জুটিতে ওঠে ১১৫ রান। বাবর করেন ৯৫ বলে ৭৩। ৭টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ২২ গজের অন্য প্রান্তে রিজ়ওয়ান ছিলেন আগ্রাসী। তাঁর ৮২ বলে ৮০ রানের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং ৩টি ছয়। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সলমন আঘা করেন ৩০ বলে ৩৩। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি ছয় নম্বরে নামা কামরান গুলাম দলকে পৌঁছে দেন ভাল জায়গায়। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও বোলারই তাঁর সামনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ৪টি চার এবং ৫টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান গুলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার কোয়ানা মাফাকা ৭২ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন। মার্কো জানসেন ৩ উইকেট নিয়েছেন ৭১ রানের বিনিময়।
জয়ের জন্য ৩৩০ রান তাড়া করার চাপ সামলাতে পারলেন না বাভুমারা। কেপ টাউনের ২২ গজে মূলত চাপের কাছেই হার মানতে হল তাঁদের। হেনরিক ক্লাসেনের ৮টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৭৪ বলে ৯৭ রানের ইনিংসও বাঁচাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৮৪ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর নামেন ক্লাসেন। তিনি ২২ গজের এক দিন আগলে রাখলেও অন্য প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পেলেন না। বাভুমা (১২), টনি ডিজ়োরজ়ি (৩৪), ভ্যান ডার ডুসেন (২৩)। এডেন মার্করাম (২১), ডেভিড মিলারেরা (২৯) বড় রান তাড়া করার জন্য প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারলেন না।
বল হাতে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন শাহিন আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ। আফ্রিদি ৪৭ রানে ৪টি এবং নাসিম ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আবরার আহমেদ ৪৮ রানে ২টি এবং আঘা ৭১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। তিন ম্যাচের সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ম্যাচেই জয় পেলেন রিজ়ওয়ানেরা।