Babar Azam

পাকিস্তানের অনুশীলনে পিচের মাঝে পাথর! কী করছেন বাবর-রিজ়ওয়ানেরা

পাকিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পিচের চরিত্রের পার্থক্য অনেক। বিশেষ করে পার্‌থের পিচকে বলা হয় জোরে বোলারদের জন্য আদর্শ। তাই কামিন্স, স্টার্কদের সামলাতে বিশেষ অনুশীলন পাক ব্যাটারদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০৩
picture of Mohammad Rizwan and Babar Azam

(বাঁদিকে) মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। পার্‌থের দ্রুতগতির ২২ গজে অসি জোরে বোলারদের সামলাতে হবে শান মাসুদ, বাবর আজ়মদের। তাই প্রথম টেস্টের আগে বিশেষ অনুশীলন পদ্ধতিতে অনুশীলন করছেন পাকিস্তানের ব্যাটারেরা।

Advertisement

পাকিস্তানের পিচের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পিচের পার্থক্য অনেক। বাউন্স এবং গতি দুই-ই অনেক বেশি। বল পড়ে দ্রুত ব্যাটে আসে। অন্তত কোমরের উচ্চতায় খেলতে হয় বল। অস্ট্রেলিয়ার পিচে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজ়লউডদের বল সামলানো সহজ নয়। তার উপর পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটারের আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অস্ট্রেলিয়ার পিচের বাউন্স এবং গতির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বিশেষ পন্থা নিয়েছেন তাঁরা।

পাকিস্তান দলের অনুশীলনের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পিচের মাঝামাঝি জায়গায় ‘গুড লেংথ স্পট’-এ একটি আয়তাকার মার্বেল পাথর রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের জোরে বোলারেরা এবং নেট বোলারেরা সেই মার্বেলের উপর বল ফেলছেন। লক্ষ্য ব্যাটারের কাছে পৌঁছনো পর্যন্ত বলের গতি এবং বাউন্স সম্পূর্ণ বজায় রাখা। নেটে এভাবেই বলের গতি এবং বাউন্স মোকাবিলার অনুশীলন করেছেন মহম্মদ রিজ়ওয়ানেরা। দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ব্যাটারই পিছনের পায়ে ভর দিয়ে শট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিছুটা দেরিতে শট খেলছেন। চেষ্টা করছেন বলের গতি কাজে লাগাতে। রিজ়ওয়ানকে দেখা গিয়েছে, মার্বেলের এক দিক একটু উঁচু করে রাখতে। তাতে বল পড়ার পর কিছুটা কোনাকুনি ভাবে ব্যাটারের কাছে যাচ্ছে। মূলত বাঁহাতি জোরে বোলারদের সামলানোর জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়ার উপরেও গুরুত্ব দিচ্ছে পাকিস্তান শিবির।

১৯৯৫ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। এ বার সিরিজ়ের অন্তত একটা টেস্ট জিততে মরিয়া মাসুদের দল। টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে সিরিজ় ড্র রাখতে পারলেও অনেকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট।

Advertisement
আরও পড়ুন