মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার ছিলেন তিনিই। অথচ প্রথম চারটি ম্যাচে ঠাঁই পাননি প্রথম একাদশে। পঞ্চম ম্যাচে তাঁকে নেওয়ার পর পাঁচ উইকেট নিয়ে মহম্মদ শামি প্রমাণ করে দিয়েছেন, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। নিউ জ়িল্যান্ডের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর পাঁচ উইকেট দলকে নির্ভরতা দিয়েছে। সেই শামি ম্যাচের পরে বলে দিয়েছেন, আজ না হোক কাল, তিনি যে বিশ্বকাপে খেলবেনই সেটা জানতেন। এ ভাবেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে শামির মন্তব্য, “প্রথম একাদশে জায়গা পেতেই হবে এমন ব্যাপার নেই। ১৫ জন রয়েছে দলে। চার জনকে তো বাইরে থাকতেই হবে। আমি বেশ ইতিাচক ছিলাম। উপভোগ করছিলাম সময়টা। আসলে আমি বরাবর ভাবি, আজ হয়তো দলে নেই। কিন্তু কাল ঠিক সুযোগ পাব। কাল না হলে পরশু। দলে তো বদল হতেই থাকে। তাই নিজের সময় এলে দলের জয়ে অবদান রাখতে হবে। আমি সেটাই করেছি।”
তিনি আরও বলেছেন, “বাইরে থেকে সবই দেখছিলাম। আমাকে সুযোগ দেওয়া হলে তবেই কিছু করা সম্ভব। দলের বাইরে থাকা কঠিন ঠিকই। কিন্তু দল ভাল খেললে বা সতীর্থেরা ভাল পারফর্ম করলে খুব একটা অপরাধবোধ হয় না। আমি বাইরে থাকলেও বেশ মজাই পাচ্ছিলাম দলের সাফল্যে।”
ধর্মশালার পিচ থেকে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি। তার পরেও পাঁচ উইকেটের রহস্য কী? হাসতে হাসতে শামির উত্তর, “আমি সবই জানি। কিন্তু ম্যাচের দিন পরিবেশ কেমন রয়েছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পিচ থেকে কিছু পাওয়া না গেলে লাইন-লেংথের উপরে নজর দিতে হয়। দেখুন, সেটা করেই সাফল্য এসেছে। বাকি বোলারেরাও একই জিনিস অনুসরণ করেছে।”
ধর্মশালার মাঠ নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে গত কয়েক দিনে। তবে শামি সে সব মানতেই চাননি। তাঁর স্পষ্ট কথা, “দেখুন, দু’দলই তো একই পরিবেশে খেলেছে। মাঠকর্মীদের কিছু বলার মতো নেই। ওরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। কারওর দিকে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। যে কোনও দেশই হোক, একটু ভাল-মন্দ থাকেই। কখনও সখনও আমরাও শুকনো মাঠে খেলি। তাই আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।”