মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
এ বারেও শিকে ছিঁড়ল না। এ বারের বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে এখনও সুযোগ পেলেন না মহম্মদ শামি। শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় প্রথম একাদশে আসার কথা ছিল তাঁর। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুযোগ যেতে পারেন সেই সম্ভাবনাও ছিল। কারণ পুণেতে ব্যাটিং পিচ। এখানে শার্দূলের মতো বোলার মার খেতে পারেন। সেটা ভেবেই শামিকে দলে আনার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা দল বদলালেন না। পাকিস্তান ম্যাচের দলই খেলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও।
বিশ্বকাপে এখন ভারতের যে বোলারেরা খেলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে শামিরই। তিনি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে এখনও সুযোগ পাননি। ভারতের প্রতি ম্যাচের আগেই শামিকে নিয়ে প্রচুর কথা উঠছে। তাঁকে খেলানোর দাবি জোরদার হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি তাতে কর্ণপাতই করতে রাজি নয়।
শামির মতোই আর এক বঞ্চিত হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে এই ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কারণ পুণের মাঠ স্পিনারদের খুব একটা সাহায্য করে না। এই মাঠে যে এক দিনের ম্যাচগুলি খেলা হয়েছে সেখানে পেসারেরা ৫৬টি উইকেট পেয়েছেন। স্পিনারেরা মাত্র ১৮টি। এই পিচে শামির বল কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সুযোগ পেলেন না তিনি।
ভারতীয় দলে মহম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরা নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। তাঁদের উপর আস্থা রয়েছে দলের। তাঁরা সেই আস্থার দামও দিচ্ছেন। কিন্তু শার্দূলের জায়গা পাওয়া নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। আগের ম্যাচে তিনি মোটে ২ ওভার বল করেছেন। ব্যাট করতে হয়নি। তা হলে তাঁকে দলে নেওয়ারই বা দরকার কী, এই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। রোহিতেরা অবশ্য বাইরের আওয়াজে কান দেন না। তাই শামিকে নেওয়ার আবেদনও কেউ শুনছেন না।