বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
গত বছরই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এর মধ্যেই পাকিস্তানের মুখ্য নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন মহম্মদ হাফিজ়। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অলরাউন্ডারকে খুব দ্রুতই এই পদে আনা হতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফেরও পছন্দ হাফিজ়কে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ় শেষ হলেই তাঁকে মুখ্য নির্বাচক করা হতে পারে।
গত জুন মাসে ক্রিকেট পরিচালন সমিতি (সিএমসি) ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর থেকে মুখ্য নির্বাচকের পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। পাক বোর্ডের এক সূত্র বলেছেন, “সম্প্রতি জ়াকা দেশের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ এবং হাফিজ়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। রশিদকে খুব বেশি আগ্রহী দেখায়নি। তিনি বরং দুর্নীতি-বিরোধী কাজকর্মের ব্যাপারেই বেশি মন দিতে চান। কিন্তু হাফিজ় জানিয়েছেন, তিনি নতুন পদ পেতে আগ্রহী।” দেশের হয়ে ৫৫টি টেস্ট, ২১৮টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা হাফিজ় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে।
ভেঙে দেওয়ার আগে সিএমসি-র নেতৃত্বে ছিলেন পাক বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাজাম শেট্টি। তিনি হারুণ রশিদকে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান করেন। কিন্তু সিএমসি ভেঙে দেওয়ায় হারুণ আর কোনও পদে নেই। নতুন বোর্ডপ্রধান আপাতত ধন্দে রয়েছেন অন্য একটি ব্যাপারে। পুরো নির্বাচক কমিটিই ভেঙে দেবেন নাকি মুখ্য নির্বাচক পদে কাউকে আনবেন তা নিয়ে কিছুটা দোলাচলে রয়েছেন।
তবে পাক বোর্ডের সূত্রের দাবি, পুরো নির্বাচক কমিটি হয়তো ভাঙা হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ়ের পরে পাকিস্তানের ঠাসা সূচি রয়েছে। এশিয়া কাপের আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় রয়েছে। তাই নতুন নির্বাচক কমিটির পক্ষে অত দ্রুত দায়িত্ব নিয়ে দল নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
এ ছাড়াও, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের নতুন টিম ম্যানেজার এবং মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ করা হতে পারে। নবীন আক্রম চিমা এত দিন টিম ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর বদলে আনা হতে পারে রেহান উল হককে।