লড়াই: রানে ফিরেছেন ওয়ার্নার। (ডান দিকে) সতর্ক মর্গ্যান। ফাইল চিত্র।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও অইন মর্গ্যান মনে করছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেভারিট বিরাট কোহালির ভারত! আজ, শনিবার ইংল্যান্ডকে বড় পরীক্ষা দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ নিয়ে মর্গ্যানের মন্তব্য, ‘‘ট্রফির দাবিদারদের মধ্যে যুগ্মভাবে আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। তবে সবার আগে বিরাট কোহালির ভারত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই আমাদের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেলতে হবে।’’
মর্গ্যানদের মতো অ্যারন ফিঞ্চরাও জিতেছেন প্রথম দু’টি ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া খুব ভাল ব্যাটিং না করলেও, শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারদের চেনা আগ্রাসী মেজাজ দেখা গিয়েছে। সতর্ক ইংল্যান্ড অধিনায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘অস্ট্রেলিয়া খুব শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ওদের ভাল করে জানি। বেশ কয়েক বছর ওদের বিরুদ্ধে নিয়মিত খেলছি।’’
আইপিএলে ডেভিড ওয়ার্নার ছন্দে ছিলেন না। বিশ্বকাপের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচেই রান পাননি। ব্যর্থ হন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও। স্বভাবতই শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ওয়ার্নারকে (৪২ বলে ৬৫) রানে ফিরতে দেখে স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া শিবির। যা দেখে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ফিঞ্চ জানিয়েছেন, অ্যাডাম জ়াম্পার বদলে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ওয়ার্নারকেও অনায়াসে দেওয়া যেত।
ওয়ার্নারের চোখও শনিবারের দিকে, ‘‘ইংল্যান্ড সব বিভাগেই দারুণ। শেষদিকের ব্যাটাররাও রান করে। বোলিংয়ে ওদের অনেক অস্ত্র। তার উপরে প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসীও। তাই আমাদের কিছুটা চাপ থাকবে।’’ চাপ থেকে বেরোনোর উপায়ও বার করে ফেলেছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। বলেছেন, ‘‘প্রথম ছ’ওভারে আক্রমণ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, ওই সময়টায় আমাদের যেন বিশেষ ক্ষতি না হয়। সেটা করতে পারলে ইংল্যান্ডই কী করবে, তা বুঝতে পারবে না।’’
ইংল্যান্ড এমনিতেও উদ্বেগে আছে পেস বোলারদের নিয়ে। চোট থাকায় মার্ক উডকে এখনও মাঠএ ফেরেননি। হাঁটুতে চোট পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন না টম কারানও। তবে মর্গ্যানদের ভরসার জায়গা বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার টাইমাল মিলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যিনি ১৭ রানে দু’জনকে ফেরান। বাংলাদেশ ম্যাচে পান তিন উইকেট ২৭ রানে। ‘‘ইংল্যান্ডের জার্সিতে এর আগে কাউকে এতটা চ্যালেঞ্জ নিতে দেখিনি,’’ টাইমাল প্রসঙ্গে বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
পাশাপাশি জস হেজলউড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স— তিন অস্ট্রেলীয় পেসারও রীতিমতো ভাল বোলিং করছেন। কামিন্স বলেছেন, ‘‘শুরুটা দারুণ হয়েছে। সবাই তাই চাপমুক্ত। অথচ কোভিডের জন্য হালফিলে খুব বেশি আমরা খেলিনি। অবশ্য সাদা বলে ইংল্যান্ডও অন্যতম সেরা। সহজে ওদের হারানো যায় না। তবু আমাদের জিততেই হবে। কারণ, এই ম্যাচটা জিতলে সেমিফাইনালে খেলাটা সহজ হবে।’’
অ্যাডাম জ়াম্পার লেগস্পিন সামলাতে না পেরে শ্রীলঙ্কা ১৫৪ রানে আটকে যায়। ফিঞ্চের কথায়, ‘‘ও-ই ম্যাচ ঘুরিয়েছে।’’ অস্ট্রেলীয় স্পিনার নিজে মনে করেন, মন্থর পিচে বল অনেকটা ঘোরাতেই তিনি সফল, ‘‘শিশির পড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের স্পিনাররা আমার মতো সুবিধে পায়নি।’’