দক্ষিন আফ্রিকাপ বিরুদ্ধে শতরানের পর মাহমুদুল্লা। ছবি পিটিআই।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দলে তাঁর জায়গাই হচ্ছিল না। তাঁকে ছাড়াই পরিকল্পনা করছিলেন কোচ চন্দিকা হাতুরেসিংহে এবং অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। প্রায় শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছিলেন মাহমুদুল্লা রিয়াদ। অথচ সেই ৩৭ বছরের ব্যাটারের ব্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও মান বাঁচল শাকিবদের।
মঙ্গলবার ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেললেন রিয়াদ। এই নিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরান করলেন তিনি। এক দিনের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের শতরানের সংখ্যা ছয়। তার অর্ধেকই রিয়াদের। এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে সাজানো ইনিংসে রিয়াদ দেখিয়ে দিয়েছেন উইকেট কোনও জুজু ছিল না। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারের উইকেটে থাকার কোনও চেষ্টাই করেননি।
বিশ্বকাপে নিজের পছন্দের জায়গায় ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছেন না রিয়াদ। নামতে হচ্ছে ছয় নম্বরে। তবু এক মাত্র তিনিই ধারাবাহিক ভাবে রান পাচ্ছেন। ভারতের বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৬ রান। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে হয়নি তাঁকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন ১৮। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা যত এগোচ্ছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যাটে তত রান ধরা দিচ্ছে।
এ দিন যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন দলের রান ছিল ৪২ রানে ৪ উইকেট। সামনে জয়ের জন্য ৩৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। ২২ গজে সঙ্গী হিসাবে তেমন কাউকে পাননি। কোনও স্বীকৃত ব্যাটার ছিল না। তবু ঠান্ডা মাথায় দলকে পৌঁছে দিলেন ভদ্রস্থ জায়গায়। বাংলাদেশের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন। জানতেন লক্ষ্যে পৌঁছনো অসম্ভব। তবু হাল ছাড়েননি। তাঁর ধারাবাহিকতা অধিনায়ক শাকিবকেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। ম্যাচের পর শাকিব বলেছেন, বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলিতে রিয়াদকে আরও উপরের দিকে নামাতে পারেন তাঁরা।