ঋষভ পন্থের (বাঁ দিকে) সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন সঞ্জীব গোয়েন্কা। —ফাইল চিত্র।
প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারের পর লখনউ সুপার জায়ান্টসের সাজঘরে গিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সঞ্জীব গোয়েন্কা। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের কাছে হারের পরও লখনউয়ের সাজঘরে দেখা গেল গোয়েন্কাকে। সেখানে গিয়ে ঋষভ পন্থদের কী পরামর্শ দিলেন দলের মালিক?
দল হারায় অবশ্য ক্রিকেটারদের বকাবকি করেননি গোয়েন্কা। উল্টে তাঁদের উৎসাহ দিয়েছেন। ভুল শুধরে পরের ম্যাচে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। গোয়েন্কা বলেন, “আমার মনে হয় ম্যাচে অনেক ইতিবাচক বিষয় ছিল। তোমরা আরও ভাল খেলতে পারো। পঞ্জাব আমাদের থেকে ভাল খেলেছে বলে জিতেছে। তোমরা জানো কোথায় ভুল হয়েছে। আমার থেকে তোমরা বেশি হতাশ। তবে কাল নতুন করে শুরু করো। আগের কথা ভুল গিয়ে আগামী সপ্তাহের দিকে তাকাও। আমাদের দল খুব ভাল। শুধু নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখো। ভুল শুধরে জেতার চেষ্টা করো।”
দিল্লির কাছে হারের পরেও ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়েছিলেন গোয়েন্কা। পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছিল লখনউ। গোয়েন্কা জানেন, আইপিএলে হার-জিত হতেই থাকবে। সেই কারণে দলকে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন তিনি। অধিনায়ক পন্থ ও তাঁর ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রাখছেন।
তবে গত মরসুমে এই ছবিটা দেখা যায়নি। প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে মাঠেই প্রকাশ্যে বকুনি দিয়েছিলেন গোয়েন্কা। জানা গিয়েছিল, সেই ঘটনার পরেই লখনউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাহুল। এ বারের নিলামের আগে তাঁকে ধরে রাখেনি লখনউ। নিলামে ২৭ কোটি টাকায় পন্থকে কিনেছেন গোয়েন্কা। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হয়েছে পন্থ।
কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি পন্থ। তিনটি ম্যাচে মাত্র ১৭ রান করেছেন তিনি। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না দলও। নিকোলাস পুরান একমাত্র প্রতিটি ম্যাচে রান করছেন। পন্থকে দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা চাপে রয়েছেন তিনি। গোয়েন্কাও হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন। তাই আর চাপ দিতে চাইছেন না তিনি। সেই কারণে হারের পরও মাঠে নেমে হাসিমুখে পন্থের সঙ্গে কথা বলছেন। কাঁধে ভরসার হাত রাখছেন দলের মালিক।