সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন রাহুল। ছবি: টুইটার।
সাফল্য এবং ব্যর্থতা খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ। সাফল্য পেলে সমর্থকেরা মাথায় তুলে নাচেন। আবার ব্যর্থতায় তাঁরাই সমালোচনা করেন। সমাজমাধ্যমে কেউ কেউ ব্যঙ্গবিদ্রুপও করেন। সংবাদমাধ্যমও সমালোচনা করে। এই সব নিয়েই চলতে হয় খেলোয়াড়দের। লোকেশ রাহুলের অভিজ্ঞতাও আলাদা নয়।
বেশ কিছু দিন ধরেই চেনা ছন্দে নেই রাহুল। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের মাঝপথে ভারতীয় দল থেকে বাদও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। চোট পেয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। অস্ত্রোপচারের পর এখন তাঁর সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তার মাঝেই ক্রীড়াপ্রেমীদের বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়ার মতামত জানিয়েছেন রাহুল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টে ৩৭ রান করার পর বাদ পড়েছিলেন ভারতীয় দল থেকে। তার আগেও তেমন রান পাচ্ছিলেন না। ছন্দে না থাকার সময় নানা বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছেন, ‘‘এই ধরনের বিষয়গুলো কখনও কখনও আমাকে কিছুটা প্রভাবিত করে। দলের অন্যদেরও করে। অথচ খারাপ সময়ই ক্রীড়াবিদদের বেশি সমর্থন দরকার হয়। অনেকে মনে করেন, তাঁদের যা খুশি বলার বা মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে। তার মধ্যে দিয়েই আমাদের যেতে হয়।’’ খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে ভারতীয় দলের প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা কেউ ইচ্ছা করে খারাপ খেলি না। আসলে এটাই আমাদের জীবন। খেলাই আমাদের সব। আমি যেমন ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু জানি না।’’
কথা বলার সময় কিছুটা আবেগপ্রবণ শুনিয়েছে রাহুলকে। ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশের আচরণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটই একমাত্র কাজ, যেটা আমি করি। তা হলে কেন ধরে নেওয়া হবে যে আমি সেই কাজটা নিয়ে যথেষ্ট যত্নবান নই? কেন ধরে নেওয়া হবে আমি যথেষ্ট পরিশ্রম করছি না? দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, অনেকেরই খেলাধুলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন। যেমন আমিও কঠোর পরিশ্রম করি। কিন্তু ফলাফল আমার দিকে আসেনি।’’
রাহুল বোঝাতে চেয়েছেন, কোনও খেলোয়াড় খারাপ পারফরম্যান্স করলে বা ছন্দে না থাকলেই তাঁকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। বরং, এ রকম কঠিন সময়েই সব থেকে বেশি সমর্থন প্রয়োজন হয় তাঁদের। কিন্তু বাস্তবে ঘটে ঠিক উল্টো।