উইকেট নিয়ে উল্লাস কুলদীপের। ছবি: পিটিআই।
তাঁর একটি ওভারেই বদলে গেল ম্যাচ। বাবর আজম সবেমাত্র আউট হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ধার তখনও বজায় ছিল। সেটাও কেটে গেল কুলদীপ যাদবের একটি ওভারে। দ্বিতীয় বলে ফেরালেন সাউদ শাকিলকে, যিনি চলতি বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন। ওভারের শেষ বলে ইফতিকার আহমেদ আউট হলেন। সেই কুলদীপ যাদব ইনিংস বিরতিতে জানালেন সাফল্যের রহস্য।
বাঁ হাতি স্পিনার হিসাবে একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল কুলদীপই। এখনও পর্যন্ত তাঁর ১৫৭টি উইকেট রয়েছে। সেই কুলদীপ বললেন, “উইকেট বেশ ধীরগতির ছিল। আমরা লেংথের উপরো জোর দিয়েছিলাম। ওরা আমার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়নি। তাই আমি বলের গতি এবং বৈচিত্রের দিকে নজির দিয়েছিলাম।”
কুলদীপের সংযোজন, “গত কয়েকটা ম্যাচেই ভাল বল করেছি। উইকেটের খুব বেশি বাইরে বল করার চেষ্টা করিনি। কারণ ফিল্ডিংয়ে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে পাকিস্তানও খুব বেশি শটের বৈচিত্র খেলার চেষ্টা করেনি। রিজ়ওয়ান আমার বলে প্রচুর সুইপ শট খেলেছে এমনটা নয়। তাই আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন ও একটা খারাপ শট খেলে।”
ফর্মে থাকা শাকিলকে নজরে রেখেই তাঁকে আউট করেছেন বলে জানালেন কুলদীপ। বলেছেন, “আমি গত দুটো ম্যাচে শাকিলের ব্যাটিং ভাল করে দেখেছি। ও প্রচুর সুইপ করার চেষ্টা করছিল। যে বলটায় ওকে আউট করলাম, ও ভেবেছিল খুব আস্তে আসবে। কিন্তু বলটা পিছলে যায়। সেটাই বুঝতে পারেনি ও।”
আমদাবাদের স্টেডিয়াম প্রথম দিকে পুরোপুরি না ভরলেও পাকিস্তানের ইনিংস যত এগোল তত স্টেডিয়াম ভরে গেল। এক লাখের বেশি দর্শকের সামনে খেলে কী রকম লেগেছে? কুলদীপের উত্তর, “অবিশ্বাস্য লাগছে। অসাধারণ পরিবেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এত লোকের সামনে খেলা দারুণ ব্যাপার। শুনলাম ৯০ হাজার বা তারই বেশি লোক হয়েছে। আমি ঠিক জানি না। কিন্তু পরিবেশটা উপভোগ করেছি।”