Moeen Ali on KKR Victory

ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেছিলেন, খেলতে হবে, তার পর ২ উইকেট! রহস্য ফাঁস কেকেআরের মইনের

রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দুই উইকেট নিয়েছেন মইন আলি। বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটিতে রাজস্থানকে সমস্যায় ফেলেছেন তিনি। সেই জুটি নিয়ে মুখ খুলেছেন কেকেআরের বিদেশি ক্রিকেটার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১২:৩২
cricket

রাজস্থানের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছেন কেকেআরের মইন আলি। ছবি: রয়টার্স।

ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে জানতে পেরেছিলেন, সুনীল নারাইনের বদলে খেলতে হবে তাঁকে। তবে মাঠে দেখে বোঝা যায়নি যে তিনি তৈরি নন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মইন আলি। বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। দু’জনে মিলে রাজস্থানের মিডল অর্ডারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন। নতুন বোলিং সতীর্থকে নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদেশি ক্রিকেটার। মইনের মতে, তিনি অতটাও ভাল বোলার নন। তাঁর কাজ ছিল শুধু বরুণকে সাহায্য করা। সেটাই করেছেন তিনি। বরুণের প্রশংসা শোনা গিয়েছে মইনের মুখে।

Advertisement

রাজস্থানকে হারানোর পর সাংবাদিক বৈঠক করতে যান মইন। তাঁর বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার বলেন, “আমার কাজ ছিল শুধু ওদের চাপে রেখে দেওয়া। তাতেই ওরা সমস্যায় পড়ত। তখন বরুণের উইকেট নিতে সুবিধা হত। আমি এমন এক জনের সঙ্গে বল করেছি যে আমার থেকে অনেক ভাল বোলার। রহস্যময় বোলার। আমার কাজ ছিল ওকে সাহায্য করা। যাতে ও উইকেট পায় সেই কাজটা করে যাওয়া। সেটাই করার চেষ্টা করেছি। ভাগ্যক্রমে আমিও উইকেট পেয়েছি।”

বরুণ গত বছর থেকে কেকেআরের সেরা অস্ত্র হয়ে উঠেছেন। আইপিএলে ভাল খেলায় জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছেন। বরুণের প্রশংসা করেছেন মইন। তিনি বলেন, “বরুণ দুর্দান্ত বোলার। গত দু’-তিন বছরে ও দারুণ উন্নতি করেছে। ওর মতো একজনের সঙ্গে বল করার অভিজ্ঞতা খুব ভাল। আশা করছি আগামী দিনেও আমরা একসঙ্গে খেলব।”

তবে শুধু বরুণ নয়, রাজস্থানকে ১৫১ রানে আটকে রাখতে মইনের ভূমিকাও ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। যশস্বী জয়সওয়াল ও নীতীশ রানাকে আউট করেছেন তিনি। যশস্বী বড় উইকেট হলেও নীতীশকে আউট করে বেশি খুশি হয়েছেন মইন। তিনি বলেন, “আমি শুধু চেষ্টা করছিলাম বল ঘোরাতে। আমি জানতাম ওরা চাপে আছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে শট খেলার চেষ্টা করবে। ভাল জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করছিলাম। তাতেই সফল হয়েছি।”

নিজেকে সেরাদের তালিকায় রাখতে নারাজ মইন। তাঁর মতে, বাকিদের মতো দক্ষতা তাঁর নেই। কেকেআরের ক্রিকেটার বলেন, “আমি অতটাও ভাল বোলার নই। বাকিদের মতো দক্ষতা আমার নেই। যদি আমার বলে কেউ ভাল শট মারে তা হলে আমি সেই শটের প্রশংসা করি। আমি সবসময় ব্যাটারদের মতো ভাবার চেষ্টা করি। আমি ওই জায়গায় থাকলে কী ভাবে ব্যাট করতাম সেটা ভাবি। সেই অনুযায়ী বল করি। এই ভাবেই আমি সাফল্য পেয়েছি।”

গুয়াহাটির উইকেট আইপিএলের বাকি মাঠগুলির মতো নয়। সেখানে ২০০ রান করা প্রায় অসম্ভব। ১৭০-১৮০ রান করেও জেতা যায়। মইন নিজে ব্যাট করার সময় সমস্যায় পড়েছেন। ১২ বলে খেলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন। চার-ছক্কার ক্রিকেটে মাঝেমাঝে এই রকম দু’-একটা ম্যাচ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মইন। তাঁর কথায়, “ভারতের মাটিতে ব্যাট করতে ভাল লাগে। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে ৩০০ রান হবে না। এমনকি ২০০ রানও হবে না। বড় বড় রানের মাঝে এই রকম দু’-একটা ম্যাচ ভাল লাগে। এই ধরনের ম্যাচে লড়াই থাকে। বোলারেরাও কিছুটা সুবিধা পায়। এই পিচে আমার খেলতে খুব ভাল লেগেছে।”

রাজস্থানের বিরুদ্ধে নারাইনের অভাব ঢেকেছেন মইন। কেকেআরের পরের ম্যাচ ৩১ মার্চ। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। সেখানে হয়তো নারাইন আবার দলে ফিরবেন। সে ক্ষেত্রে বসতে হবে মইনকে। সেটা মইনও জানেন। সেই কারণেই হয়তো সব সময় নিজেকে তৈরি রাখছেন তিনি। যখনই সুযোগ পাবেন, দলকে জেতানোর লক্ষ্যে মাঠে নামতে চান তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন