ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ, নির্বাচকদের নির্দেশ মানেননি ঈশান কিশান। ঝাড়খণ্ডের হয়ে রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচও খেলেননি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তিনি এখন আইপিএলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। বরোদায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যের নজরদারিতে জিম, অনুশীলন করছেন ঈশান। তাঁর মাঠে ফেরার চেষ্টা সফল নাও হতে পারে।
ব্যক্তিগত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন ঈশান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তাদের সঙ্গে তো বটেই, যোগাযোগ রাখেননি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও। বেশ কিছু দিন কার্যত নিখোঁজ ছিলেন ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটার। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছে, বরোদায় আছেন ঈশান। নিজেকে আইপিএলের জন্য তৈরি করছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটার। অনুশীলন করছেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিকের সঙ্গে। তাঁদের এক সঙ্গে জিম করার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যে ভিডিয়োয় মানসিক অবসাদে থাকা ঈশানকে বেশ হাসিখুশি দেখিয়েছে।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরে হার্দিক। তাঁর সঙ্গেই মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিন কয়েক আগে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলার মানসিকতা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। জয় বলেছিলেন, জাতীয় দলের কোচ এবং জাতীয় নির্বাচকদের নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারেরা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলার জন্য কোনও অজুহাত গ্রাহ্য হবে না। নির্দেশ না মানলে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন জয়। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে এ নিয়ে নিজে কথা বলেছেন বোর্ড সচিব। চিঠিও দিয়েছেন। তার পরেও ঈশানের মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
ক্রিকেট মহলের একাংশ মনে করছেন, বার বার নির্দেশ অমান্য করে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন ঈশান। কয়েক দিন আগে ঘনিষ্ঠ মহলে ঈশান জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য আইপিএলে ভাল খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা। কিন্তু ঈশানের সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে, তাঁকে জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা নাও করতে পারেন অজিত আগরকরেরা। আইপিএলের পারফরম্যান্সকে জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করতে চাইছেন না তাঁরা। তাই আইপিএলে ঈশান ভাল খেললেও ভারতীয় দলের দরজা বন্ধই থাকতে পারে তাঁর জন্য। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন বোর্ড কর্তারা।