বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসাবে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় রয়েছে পাকিস্তানের। সেই প্রস্তুতির শুরুটা ভাল হল না তাদের। আয়ারল্যান্ডের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ উইকেটে হারলেন বাবর আজ়মেরা। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও জিততে পারল না পাকিস্তান।
ডাবলিনে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ওভারেই ১ রানের মাথায় রান আউট হন মহম্মদ রিজ়ওয়ান। এই ম্যাচে রিজ়ওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন সাইম আয়ুব। বাবর নামেন তিন নম্বরে। সাইম ও বাবরের মধ্যে ৯১ রানের জুটি হয়। সেই জুটি ভাঙেন গ্যারেথ ডিলেনি। ২৯ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন সাইম।
বাবর আরও একটি অর্ধশতরান করেন। তবে তাঁর রানের গতি কম ছিল। ৪৩ বলে ৫৭ রান করে ক্রেগ ইয়ংয়ের বলে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। মিডল অর্ডার রান পায়নি। ফখর জমান করেন ২০ রান। আজ়ম খান ও শাদাব খান শূন্য রানে আউট হন। ফলে রান তোলার গতি কমে যায় পাকিস্তানের।
শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদ ও শাহিন আফ্রিদির ব্যাটে দলের রান ১৮০ পার হয়। আক্রমণাত্মক ব্যাট করেন দু’জনে। ইফতিখার ১৫ বলে ৩৭ ও শাহিন ৮ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক স্টার্লিংও দ্বিতীয় ওভারে আউট হন। নাসিম শাহের বলে ৮ রানে ফেরেন তিনি। লোরকান টাকারকে ৪ রানে আউট করেন আব্বাস আফ্রিদি। ২৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় আয়ারল্যান্ডের।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলা ধরেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও হ্যারি টেক্টর। বালবির্নি আক্রমণাত্মক ব্যাট করছিলেন। বড় শট খেলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। তাঁকে সঙ্গে দেন টেক্টর। দু’জনের মধ্যে ৭৭ রানের জুটি হয়। ৩৬ রান করে আউট হন টেক্টর। তার পরে জর্জ ডকরেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বালবির্নি। ডকরেল ১২ বলে ২৪ রান করেন।
অর্ধশতরান করেন বালবির্নি। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি একাই খেলা জিতিয়ে দেবেন। পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান শাহিন। ৫৫ বলে ৭৭ রান করে আউট হন বালবির্নি। তখনও জিততে দরকার ছিল ৮ বলে ১৬ রান। ডিলেনি ও কার্টিস ক্যাম্ফ্যার সেই রান তুলে নেন। এক বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের হারের নেপথ্যে দায় রয়েছে শাদাবের। ব্যাট হাতে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরে বল হাতে ৪ ওভারে ৫৪ রান দেন তিনি। একটিও উইকেট পাননি। শাহিন, নাসিমেরা উইকেট নিলেও আয়ারল্যান্ডের পিচে দাপট দেখাতে পারেননি তাঁরা।