IPL

আইপিএলের পরিকল্পনা বদল করতে পারে ভারতীয় বোর্ড, ক্রিকেটারদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন জয় শাহেরা

২০২৫ সাল থেকে বদলে যাওয়ার কথা ছিল আইপিএল। দু’বছর আগে প্রতিযোগিতার সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির সময় যে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল, তা এখন কার্যকর করতে চাইছেন না কর্তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১
picture of Jay Shah

জয় শাহ। —ফাইল চিত্র।

আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের প্রতিযোগিতায় ৮৪টি করে ম্যাচ হবে বলে ঠিক হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

২০২৩ এবং ২০২৪ সালের আইপিএলে হয়েছে ৭৪টি ম্যাচ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে ৮৪টি করে এবং ২০২৭ থেকে ৯৪টি করে ম্যাচ হওয়ার কথা। দু’বছর আগে প্রতিযোগিতার সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করার সময় আগ্রহী টেলিভিশন সংস্থাগুলিকে ক্রমশ ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছিল। অথচ এখন সেই পরিকল্পনা কার্যকর করতে চাইছে না বিসিসিআই। গত দু’বছরের মতো ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতাতেও ৭৪টি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বিসিসিআই সূত্রে খবর, মূলত ক্রিকেটারদের কথা ভেবে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি না করার কথা ভাবা হয়েছে। ম্যাচের সংখ্যা বাড়লে ক্রিকেটারদের খেলার চাপ বাড়বে। বিশ্রামের সুযোগ আরও কমবে। তাতে চোট-আঘাতের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। ক্রিকেটারদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ বৃদ্ধির পরিকল্পনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিসিসিআই কর্তারা।

বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, ‘‘২০২৫ সালের আইপিএলে ৮৪টি ম্যাচ করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ক্রিকেটারদের উপর চাপও বাড়বে। হতে পারে চুক্তিতে ৮৪টি ম্যাচের কথা রয়েছে। তবে ম্যাচের সংখ্যা কত হবে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বিসিসিআইয়ের রয়েছে।’’

২০২৫ সালের আইপিএলের ফাইনাল হতে পারে ২৫ মে। তার পর টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হওয়ার কথা ১১ জুন। আশা করা হচ্ছে, গত দু’বারের মতো এ বারও ভারত ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। ফলে আইপিএল শেষ হতে যত দেরি হবে, ভারতীয় দলের প্রস্তুতির সময়ও তত কমবে। গত দু’বার টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জিততে পারেনি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। এই বিষয়টিও ভাবিয়েছে বিসিসিআই কর্তাদের। এ বার ফাইনাল শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ আগে দলকে ইংল্যান্ড পাঠিয়ে দিতে চান বোর্ড কর্তারা।

আরও পড়ুন
Advertisement