গত বছর হর্ষলের দিদি মারা যান। সেই শোক মেনে নিতে পারেননি এই মিডিয়াম পেসার। — ফাইল চিত্র
দু’বছর আগে আইপিএলের আবিষ্কার ছিলেন তিনি। এক মরসুমে ৩২টি উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। পরের মরসুমে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েও প্রায় ১১ কোটি টাকা দিয়ে কেনে বিরাট কোহলির দল আরসিবি। সেই হর্ষল পটেলই এক সময় ব্যক্তিগত হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন। হোটেলের ঘরে হাউহাউ করে কাঁদতেন। কাউকে পাননি পাশে। কারণ সেই সময় কোভিডের প্রবল দাপট ছিল।
গত বছর হর্ষলের দিদি মারা যান। সেই শোক মেনে নিতে পারেননি এই মিডিয়াম পেসার। কড়াকড়ির কারণে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে পারেননি। একা একাই হোটেলের ঘরে গুমরে থাকতে হত। আরসিবির পডকাস্টে হর্ষল বলেছেন, “আমার দিদি মারা যাওয়ার পরে এক সপ্তাহ প্রচণ্ড মনমরা ছিলাম। নিভৃতবাসে থাকায় বাইরে বেরোতে পারিনি। প্রতি দিন ভাগ্নে-ভাগ্নির সঙ্গে কথা বলতাম। খুব ইচ্ছে করত ওদের গিয়ে জড়িয়ে ধরে একসঙ্গে কাঁদতে। কিন্তু ফোন ছাড়া অন্য বিকল্প ছিল না। সাত দিন পরে আমার ছেলে হল। তার পর ৭-১০ দিন চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতেই পারছিলাম না আমার কী করা উচিত। খুশি হব না দুঃখ পাব।”
The Zak hack! 🤝#ICYMI, Harshal Patel talks about the influence of Zaheer Khan on his bowling, in the full episode of #RCBPodcast out now on our YouTube channel! #PlayBold pic.twitter.com/bl7wdef920
— Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) March 11, 2023
হর্ষলের সংযোজন, “তখন দিনে তিন-চার বার ঘরে একা একাই কাঁদতাম। তার পরে ফোনে ছেলেকে দেখতে পেয়ে মন ভাল যেত। একই সঙ্গে দু’রকম অনুভূতি হলে শারীরিক ভাবে খুব বিধ্বস্ত লাগে নিজেকে। সাধারণত খারাপ হোক বা ভাল, দুটোতেই আমি একই রকম থাকি। ওই দুটো সপ্তাহে আরও ভাল করে বুঝতে পেরেছিলাম যে, কী করে এ ধরনের সমস্যা পেরোতে হয়। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। যদি নিজের প্রতি সৎ না থাকতাম, তা হলে ওই সময়টা কাটাতে পারতাম না। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার ছিল।”
গত বছর নিলামে তাঁর দাম ১১ কোটি টাকা ওঠায় চমকে গিয়েছিলেন হর্ষল। বলেছেন, “অনেকেই আমার প্রত্যাশা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম খুব বেশি হলে ৬-৭ কোটি দাম হবে। গত তিন-চার মরসুমে আমার মতো ক্রিকেটাররা কী দাম পেয়েছে সেটা দেখেছিলাম। কিন্তু ১০ কোটি দাম পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”