Virat Kohli

রোহিত, কোহলিরা আইপিএলে ক’টি ম্যাচ খেলতে পারেন? নির্দেশ পাঠাল বোর্ড

আইপিএলের দলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে দিল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ)। সেই নির্দেশিকায় অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৮
rohit and kohli

কোহলি এবং রোহিতের মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্য কবে দেখা যাবে? — ফাইল চিত্র

ইদানীং ভারতের একের পর এক ক্রিকেটার চোট পাচ্ছেন। বছরশেষে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থাকায় চিন্তা বাড়ছে। এ অবস্থায় আইপিএলের দলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে দিল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ)। কিন্তু ক্রিকেটারদের খেলানো যাবে না, এমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।

এনসিএ-র নির্দেশিকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সিইও ধীরজ মলহোত্র। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের যে ক্রিকেটার যে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত, সেই দলকে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। তবে ম্যাচে খেলানোর ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এনসিএ-র তরফে সব সময় যোগাযোগ রাখার কথা উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

ধীরজ বলেছেন, “আমাদের দলে অক্ষর, কুলদীপ এবং পৃথ্বী শ রয়েছে। ওরা সাম্প্রতিক সময়ে কতটা ক্রিকেট খেলেছে এবং ওয়ার্কলোড কেমন, সেটা আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু বোর্ডের তরফে আমাদের থেকে কী চাওয়া হচ্ছে এবং আগামী দিনে ক্রিকেটারদের উপর কতটা ওয়ার্কলোড দেওয়া যাবে, সেটা পরিষ্কার করে জানানো যায়নি।

সূত্রের খবর, চোট নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিচ্ছেন এমন ক্রিকেটার বাদে বাকিদের নিয়ে বোর্ডের তরফে কোনও নির্দেশিকাই দেওয়া হবে না। ধীরজের সাফ কথা, “দেখুন, যশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে মহম্মদ শামিই বিশ্বকাপে ভারতের জোরে বোলিংকে নেতৃত্ব দেবে। যদি গুজরাত আবার ফাইনালে ওঠে, তা হলে সর্বোচ্চ ৬৪ ওভার বল করতে পারে (১৬টি ম্যাচ ধরে)। যদি এনসিএ বলেও দেয় যে, শামিকে ৪০ ওভারের বেশি বল করানো যাবে না। তবু কোথায় নিশ্চয়তা রয়েছে যে সেই ৪০ ওভারে ওর কোনও চোট লাগবে না। লিখিত প্রতিশ্রুতি কেউ দিতে পারবে কি?”

উল্লেখ্য, আইপিএলে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নিয়ে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক দিনের সিরিজ়ে হারের পর রোহিত। শর্মা বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির উপরেই সব নির্ভর করছে। ওরাই এখন ক্রিকেটারদের মালিক। আমরা কিছু দলকে বার্তা পাঠিয়েছি ঠিকই। কিন্তু দিনের শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িদের ইচ্ছের উপরে কিছু বলা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটারদের উপরেই এটা নির্ভর করছে। প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের শরীরের খেয়াল সবাইকে রাখতে হবে। যদি মনে হয় খুব বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে দলের সঙ্গে কথা বলে দু-একটা ম্যাচে বিরতি নিতে পারে। তবে আমার সন্দেহ রয়েছে আদৌ এটা হবে কি না।”

আরও পড়ুন
Advertisement