Shubman Gill

খাটিয়া পেতে অনুশীলন শুভমনের, কী কাজে লাগত? নতুন গল্প শোনালেন ভারতীয় ওপেনারের বাবা

ক্রিকেটারেরা নিজেদের দক্ষতা উন্নত করার জন্য নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তেমনই শুভমন ব্যবহার করতেন একটি খাটিয়া। কী রকম ক্রিকেটীয় সাহায্য পেতেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৬
picture of Shubman Gill

শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।

জোরে বোলারদের সামলানোর জন্য বোলিং মেশিনের সাহায্যে অনুশীলন করে থাকেন ব্যাটারেরা। বোলিং মেশিনে বলের গতি এবং বাউন্স নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রয়োজন মতো বৃদ্ধি করা যায় বা কমানো যায়। এক সময় শুভমন গিলের বোলিং মেশিন ছিল একটি খাটিয়া! এমনই মজার তথ্য জানিয়েছেন তাঁর বাবা লখবিন্দর সিংহ।

Advertisement

ভারতের তরুণ ব্যাটারদের মধ্যে সব থেকে প্রতিভাবান হিসাবে বিবেচনা করা হয় শুভমনকে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে এখন ভারতীয় দলের ইনিংস শুরু করেন শুভমনই। আন্তর্জাতিক স্তরে তিন ধরনের ক্রিকেটেই সাফল্য পেয়েছেন তরুণ ওপেনিং ব্যাটার। নিজেকে এই পর্যায় আনতে এক সময় প্রচুর পরিশ্রমও করতে হয়েছে তাঁকে। ওপেনার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ক্রিকেট শেখা শুভমন প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন জোরে বল খেলার কৌশল রপ্ত করার উপর। সেই অনুশীলনে শুভমনের সঙ্গী ছিল একটি খাটিয়া।

বাংলার বাইরে বিশেষ করে উত্তর এবং মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে কাঠের ফ্রেমে দড়ি বুনে তৈরি করা হয় খাট। যা মূলত খাটিয়া বা চারপেয় নামে পরিচিত। বসার বা শোয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় এই দড়ির খাটগুলি। বিভিন্ন রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পরিচিত সেগুলি। তেমনই একটি খাটিয়ার সাহায্যে অনুশীলন করতেন শুভমন।

লখবিন্দর বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ ছিল শুভমনের। একটা সময় আমিই ওকে শেখাতাম। প্রতি দিন ৫০০ থেকে ৭০০ বল খেলাতাম শুভমনকে। জোরে বল খেলার অভ্যাস তৈরি করা জন্য একটা খাটিয়া ব্যবহার করতাম। আমি খাটিয়ার দড়িতে বল ছুড়তাম। নির্দিষ্ট দূরে উইকেট পুঁতে ব্যাট করত শুভমন। বল দড়িতে গেলে আরও বেশি গতি এবং বাউন্স নিয়ে শুভমনের কাছে যেত। এ ভাবে অনুশীলন করিয়ে শুভমনকে জোরে বল খেলতে শিখিয়েছিলাম। ওকে বলতাম প্রতিটি বল ব্যাটের মাঝের অংশ দিয়ে খেলার চেষ্টা করতে। প্রথম দিকে শট মারতে দিতাম না।’’

শুভমনদের গ্রাম মোহালি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। ছেলের ক্রিকেট প্রশিক্ষণের জন্যই লখবিন্দর গ্রামে বাড়ি ছেড়ে মোহালিতে চলে এসেছিলেন। এ নিয়ে শুভমনের বাবা বলেছেন, ‘‘আমাদের গ্রামের কাছে ক্রিকেট শেখার কোনও ভাল ব্যবস্থা ছিল না। তাই আমরা মোহালিতে চলে এসেছিলাম। এখানকার উন্নত পরিকাঠামোর সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম ছেলেকে। শুভমনের ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছাকে সব সময় সমর্থন করেছি। ওকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার হিসাবে তৈরি করার জন্য ১৫ বছর ব্যয় করেছি। ওর জন্য কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিয়ে-সহ পারিবারিক প্রচুর অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নিতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম শুভমনকে যতটা বেশি সম্ভব সময় দিতে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন