রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল ছবি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের শেষ প্রতিযোগিতা। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে তাঁর বিদায়বেলাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো পর মাঠে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন ক্রিকেটারেরা। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি কোচ দ্রাবিড়ও। এখনও তাঁর মনে টাটকা গত ২৯ জুনের সব কিছু।
ক্রিকেটপ্রেমীরা শান্ত দ্রাবিড়কে দেখতেই অভ্যস্ত। তেমন একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায় না তাঁর মধ্যে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের রাতে অন্য রূপে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচকে। এক সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘আমরা সকলে এক সঙ্গে জেতার চেষ্টা করেছিলাম। একটা চেষ্টার শেষ পর্যায় এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন উদ্যাপন না করে থাকা যায় না। তবে চাই না এমন উদ্যাপন আমার সন্তানেরা দেখুক। ওরা হয়তো ভাববে, আমার মাথার ঠিক নেই। পাগল হয়ে গিয়েছি। কারণ ছেলেদের সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছি। শান্ত থাকার কথা বলেছি। সাফল্যে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস বা ব্যর্থতায় বেশি হতাশ না হতে শিখিয়েছি। ভাগ্যিস ওটাই আমার শেষ ম্যাচ ছিল। না হলে সন্তানেরা হয়তো বলত, ‘তুমি মুখে যেটা বল, কাজে তা কর না।’ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’
দ্রাবিড় আরও বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সেই মুহূর্তে আমরা সবাই সকলে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। আমাদের পারফরম্যান্স সত্যিই বেশ ভাল হয়েছিল। দেশবাসীও আমাদের সঙ্গে উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। মানুষের সেই আনন্দ আমাদের কাছে অনেক কিছু। সকলকে ধন্যবাদ। দেশে ট্রফি ফিরিয়ে আনতে পারার একটা আলাদা অনুভূতি আছে।’’
সম্প্রতি দ্রাবিড়ের ছেলে সমিত সুযোগ পেয়েছেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। স্বভাবতই বাবা হিসাবে খুশি দ্রাবিড়। যদিও ভারতীয় দলের সঙ্গে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকার কারণে ছেলেকে তেমন সময় দিতে পারেননি। তবে সাফল্য বা ব্যর্থতার সময় কী ভাবে শান্ত থাকতে হয়, তার শিক্ষা দিয়েছেন দ্রাবিড়। তাই তাঁকে বার বার ও রকম উচ্ছ্বসিত হতে দেখলে সন্তানদের কাছে ভুল বার্তা যেত বলে মনে করেন তিনি।
দ্রাবিড়ের এই অনুভবের আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে। তা হল, ভারতীয় দলকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী। আগামী দিনে রোহিত, কোহলিরা আরও বড় সাফল্য পাবেন বলে বিশ্বাস তাঁর। স্বভাবতই তিনি কোচ থাকলে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আবার উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতেন তেমন কোনও মুহূর্তে।