রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার যাওয়ার কথা ছিল চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সেই দিন বিশ্বকাপ নিয়ে ছেলে ফিরছে যে! এত দিন পর ছেলেকে কাছে পাওয়া। ওয়াংখেড়েতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব। এত কিছু ছেড়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যায়? রোহিত শর্মার মা পূর্ণিমা তাই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে চলে গিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েতে। সেখানেই দেখা হল বিশ্বজয়ী অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন রোহিতেরা। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে মুম্বই পৌঁছে যায় দল। সেখানে জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হুডখোলা বাসে করে ওয়াংখেড়ে পৌঁছন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা। সেই মাঠ তখন ভর্তি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটারদের পরিবারের অনেকেই। প্রেসিডেন্ট বক্সে ছিলেন রোহিতের মা এবং বাবা। ছেলের হাতে ট্রফি। ছেলেকে নিয়ে দেশের মানুষের উচ্ছ্বাস। এই সব কিছুর সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলেন রোহিতের মা-বাবা।
এক সংবাদমাধ্যমকে পূর্ণিমা বলেন, “এমন একটা দিনের সাক্ষী থাকতে পারব, ভাবতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সেই সময় বলেছিল যে, এ বার দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা ছাড়তে চায়। আমি বলেছিলাম, এই বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করো।”
THIS IS MOTHER'S LOVE.
— Tanuj Singh (@ImTanujSingh) July 4, 2024
- The Way Rohit Sharma's mother kissing Hitman is absolute precious.pic.twitter.com/O5icfYDYec
শরীর ভাল নেই রোহিতের মায়ের। তিনি বলেন, “আজ আমার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। শরীরটা ভাল নেই। তা-ও এসেছি। কারণ আমি এই সব কিছু নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলাম। ভীষণ ভাল লাগছে। আমি কখনও এমন সমর্থন দেখিনি। এমন পরিবেশ দেখিনি। রোহিত যে পরিশ্রম করেছে, সেটার জন্যই এই ভালবাসা পাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি সবচেয়ে সুখী মা।”
ওয়াংখেড়েতে সারা মাঠ ঘুরে সমর্থকদের ভালবাসা জানায় ভারতীয় দল। আর প্রেসিডেন্ট বক্সে তখন আবেগের স্রোত। কারণ সেখানে শুধু রোহিতের মা-বাবা নন, ছিলেন রোহিতের প্রতিবেশীরাও। স্পোর্টসলাইন সোসাইটিতে বড় হয়েছেন রোহিত। সেখানকার বাসিন্দারাও গিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েতে। রোহিত বদলে যাননি। নিজের ছোটবেলার সঙ্গীদের ভোলেননি। স্পোর্টসলাইন সোসাইটির মানুষদের কাছে আজও তিনি সেই রোহিত। তাঁর মা বলেন, “এর থেকে বেশি আর কী চাইব। জীবনে এই দিনটা আর ফিরে আসবে না। এই দিনটা দেখার জন্যই তো এত দিন ধরে খেলছিল।”