বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি নামটা এখন অনেক বোলারের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তাঁকে কী ভাবে বল করবেন, ভেবে পান না অনেক বড় বড় বোলার। কিন্তু ১০ বছর আগে মিচেল জনসনের করা একটি বলের কথা আজও ভুলতে পারেননি বিরাট। সেই সময় জনসন হয়ে উঠেছিলেন তাঁর আতঙ্ক।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিল ভারত। ওই সফরেই টেস্ট অধিনায়ক হয়েছিলেন বিরাট। দায়িত্ব ছেড়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সফরের শুরুর একটি ঘটনার কথা বললেন বিরাট। জানালেন জনসনের একটি বাউন্সার তাঁর মাথায় লাগতে কী ভাবে বদলে গিয়েছিল সব পরিকল্পনা। বিরাট বলেন, “সফরের প্রথম ম্যাচে জনসনের প্রথম বলটাই মাথায় লাগে। বড় ধাক্কা ছিল। অবিশ্বাস্য লাগছিল।”
প্রথম ম্যাচে ৩১তম ওভারে ব্যাট করছিলেন বিরাট। বল করছিলেন জনসন। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। জনসন প্রথম বলটি বাউন্সার করেছিলেন। বিরাট বলের লাইন থেকে মাথা সরাতে পারেননি। সজোরে বল লাগে হেলমেটে। বিরাট বলেন, “দু’মাস ধরে আমি জনসনকে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মনে মনে কল্পনা করছিলাম কোন বলটা কী ভাবে খেলব। কিন্তু হেলমেটে বল লাগার পর সব পরিকল্পনা বদলে যায়। খুব জোরে লেগেছিল। চোখে সর্ষেফুল দেখছিলাম। বাঁ চোখটা ফুলে গিয়েছিল। সেটা যদিও ওই সময় বুঝতে পারিনি।”
২০১৩-১৪ সালে বিরাট এবং জনসনের লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। জনসন সেই সময় ব্যাটারদের কাছে আতঙ্কের নাম। বিরাটও ধীরে ধীরে নিজের জাত চেনাচ্ছেন। জনসনের বল মাথায় লাগার পর তাঁর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন বিরাট। তিনি বলেন, “মধ্যাহ্নভোজে আমি ভাবার সময় পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমার কাছে দুটো বিকল্প আছে। এক আমি লড়াই করব, দুই পালিয়ে যাব। আমি প্রথমটা বেছে নিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল ওর সাহস কী করে হয় আমার মাথায় বল মারার। মনে হয়েছিল একের পর এক বাউন্ডারি মারব জনসনকে। সেটাই করেছিলাম।”