নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারের নামে সচিন এবং দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভুতের খেলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঈশ সোধি, জিতন পটেল, জিত রাভাল-সহ অনেকেই কিউয়িদের জার্সিতে খেলেছেন। তাঁদেরই মতো নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন রচিন রবীন্দ্র। তবে বাকিদের থেকে একটু আলাদা তিনি। কারণ তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দুই কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম।
২১ বছরের রচিনের নামকরণ হয়েছে ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের নাম মিলিয়ে। শেষের জন ঘটনাচক্রে ভারতীয় দলের বর্তমান কোচ। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে এক ভারতীয় পরিবারে জন্ম রচিনের। তাঁর বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মা দীপা গৃহকর্ত্রী। ১৯৯০-এর দশকে বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েলিংটনে চলে আসেন রবি। সেখানে তিনি হাট হকস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
বেঙ্গালুরুতে থাকায় সময়েই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল রবির। অল্পবিস্তর খেলাধুলোও করেছেন। ছেলেকেও ক্রিকেটার করার ইচ্ছা ছিল। পরিবারের সমর্থনে নিজেকে ক্রমশ ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলতে থাকেন রচিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দু’বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। এক বার ২০১৬-য়, আর একবার ২০১৯-এ। জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এ বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পান।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও নিউজিল্যান্ডের দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম একাদশে জায়গা পাননি। রচিন জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে শীতের মরসুম চলাকালীন প্রতি বছর তিনি ভারতে চলে আসেন। অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুরের একটি মাঠে তিনি অনুশীলন করেন। স্থানীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ খাতিব সৈয়দ শাহবুদ্দিন বলেছেন, “অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও। সাফল্যের জন্য সব সময় মুখিয়ে থাকে।”
রচিন এর আগে জানিয়েছিলেন, সচিন তাঁর আদর্শ। তাঁর মতো করেই ব্যাটিং অনুশীলন করে এসেছেন। বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাত্র সাত রানে ফিরে যান রচিন।