India vs Australia

মাঠের যুদ্ধ ছাপিয়ে ধারাভাষ্যকারদের লড়াই, ম্যাচের মাঝেই দেদার চলল খোঁচা-পাল্টা খোঁচা

মাঠের বাইরে লড়াই চলছে ধারাভাষ্যের বক্সে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে, যাঁরা কোনও না কোনও সময় এই সিরিজ়ের অংশ থেকেছেন। কেউই একে অপরকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৪
file pic of sunil gavaskar and mark waugh

ধারাভাষ্যের বক্সে অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ওয়দের একহাত নিলেন সুনীল গাওস্কর। ফাইল ছবি

ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ় শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। মাঠের ভিতরে প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। কিন্তু তাঁদের অজান্তে মাঠের বাইরেও প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে লড়াই। সেই দ্বৈরথ চলছে ধারাভাষ্যের বক্সে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে, যাঁরা কোনও না কোনও সময় এই সিরিজ়ের অংশ থেকেছেন। এ দিন সকাল থেকেই দু’দেশের ধারাভাষ্যকাররা একে অপরকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না।

ভারতের ইনিংসের শুরুতে এর টাটকা উদাহরণ পাওয়া গেল। ধারাভাষ্যে থাকা ম্যাথু হেডেন বললেন, “জীবনের প্রথম টেস্ট ছ’উইকেট নিয়েছিল বোল্যান্ড। তা-ও আবার যেখানে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল।” পাশে থাকা সুনীল গাওস্কর বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। হেডেনকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “ব্যাটিং সহায়ক পিচ বলতে তুমি বোঝাতে চাইছ? এশিয়া বাদে অন্যান্য দেশে তো পাটা উইকেটে খেলা হয়। সেখানে জোরে বোলিং সামলাতে কী এমন দক্ষতা লাগে? বলের সুইং সামলানো ছাড়া কিছুই তো করতে হয় না। স্পিন বোলিং খেলা অনেক কঠিন কাজ। সেখানে আলাদা দক্ষতা লাগে। তাই তোমরা শুধু পিচ নিয়ে পড়ে থেকো না। অন্য কিছু নিয়ে কথা বলো।”

Advertisement

তার আগে একপ্রস্ত হয়ে যায় দীনেশ কার্তিক এবং মার্ক ওয়র মধ্যে। কার্তিক বলেন, “আমার মনে হচ্ছে ভারতকে এই টেস্টে মাত্র এক বারই ব্যাট করতে হবে।” জবাবে ওয় বলেন, “দেখা যাক কী হতে চলেছে।” কার্তিকের উত্তর, “আমার কথা কান খুলে শুনে রাখো মার্ক।” পাল্টা ওয় বলেন, “এখন ক’টা বাজে। এই সময়টা আমি ডায়েরিতে লিখে রাখছি। আমার মনে হয় না ব্যাপারটা এত সহজ হতে চলেছে। গেলাম, খেললাম আর জিতে গেলাম, এতটা সহজও নয়।”

এখানেই থামেননি দু’জনে। কার্তিক আরও বলেন, “খেলাটাকে সহজ করে এনেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররাই।” ওয় বলেন, “যত ক্ষণ না দুটো দল ব্যাট করছে, তত ক্ষণ কোনও পিচকে বিচার করতে যেয়ো না। দেখো ভারত কেমন খেলছে। এখনও অনেক খেলা বাকি। অস্ট্রেলিয়া এত সহজে হাল ছেড়ে দেবে না।”

পরে হেডেন এবং রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। তখনই একটি গ্রাফিক দেখানো হয়, যেখানে দেখা যায় ভারতীয়দের থেকে অস্ট্রেলীয়দের বল বেশি ঘুরেছে। হেডেন বলে ওঠেন, “এই একটা জায়গাতে অস্ট্রেলিয়া আপাতত এগিয়ে রয়েছে।” শাস্ত্রীর খোঁচা, “উইকেটের পাশে কিন্তু এখনও শূন্য লেখা রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement