(বাঁদিকে) রোহিত শর্মা এবং শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র।
প্রথম তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন রোহিত শর্মারা। চতুর্থ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে কখনও জিততে পারেননি শাকিব আল হাসানেরা। এই তথ্য ভারতীয় শিবিরকে স্বস্তি দিতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে অস্বস্তির কারণও। দু’দেশের শেষ চারটি এক দিনের ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালের পর প্রথম ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত এশিয়া কাপেও জিততে পারেননি রোহিতেরা। তাই আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় দল বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে সতর্ক। বাঁহাতি বোলারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতার কথা জানে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। শাকিবের দলে একাধিক বাঁহাতি জোরে বোলার আছেন। শুভমন গিল, বিরাট কোহলিদের দেখে খেলতে হবে।
শাকিব কি খেলবেন? তাঁর পায়ের চোট অনেকটাই ভাল। ব্যথা নেই। মঙ্গলবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে মরিয়া। ভারতীয় শিবিরে অবশ্য শাকিবকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই। বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, ‘‘শাকিবকে নিয়ে আমরা ভাবছি না। ও খেলবে কিনা, সেটা বাংলাদেশের ব্যাপার। নিঃসন্দেহে শাকিব খুব ভাল ক্রিকেটার। বল এবং ব্যাট দুটোই ভাল করে। সেটা নিয়ে ভেবে আমরা কী করব।’’
ভারত যে প্রতিপক্ষ হিসাবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তেমন নয়। যথেষ্টই দিচ্ছে। বাংলাদেশের গোটা দলকে নিয়েই ভাবছে ভারতীয় শিবির। বৃহস্পতিবার পুণেতে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না রোহিতেরা। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে দু’টিতে হেরে যাওয়া শাকিবদের হালকা ভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই ফর্মে রয়েছেন। এটাই স্বস্তির। পুণের ২২ গজ ব্যাটারদের স্বর্গ হিসাবে পরিচিত। সেখানে রোহিত, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আয়ারেরা বাংলাদেশ শিবিরের চিন্তার কারণ হতে পারেন।
অন্য দিকে কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক রেকর্ড ভাল হলেও বিশ্বকাপে চেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ শিবিরকে। শাকিবের চোটের পাশাপাশি তাঁদের চিন্তায় রাখছে একাধিক বিতর্ক। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে লিটন দাসের ব্যবহার, ব্যাটিং অর্ডার, প্রথম একাদশ সব কিছু নিয়েই চলছে বিতর্ক। এক গুচ্ছ অস্বস্তি নিয়েই রোহিতদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে শাকিবদের। জেতার চাপও থাকবে তাঁদের উপর। বিশ্বকাপে ভাল ফলের আশা জিইয়ে রাখার জন্য জিততেই হবে তাঁদের। তার উপর শেষ পর্যন্ত শাকিব খেলতে না পারলে দলের ভারসাম্য কিছুটা হলেও নষ্ট হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও মাথায় রাখছেন না শাকিবেরা।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে আয়োজক ভারত। বাংলাদেশও জেতার জন্য মরিয়া থাকবে। সব মিলিয়ে পুণের ৩৬ হাজার দর্শক একটা উপভোগ্য লড়াই দেখার সুযোগ পেতে পারে।