ICC Champions Trophy 2025

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! পিসিবির শহর-তালিকা বদলেই দিল আইসিসি

১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই ট্রফি যাওয়ার কথা ছিল স্কার্দু, মুরি এবং মুজফ্‌ফরাবাদে। এই তিনটি শহর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১১
Babar Azam, Virat Kohli

(বাঁ দিকে) বাবর আজ়ম, (ডান দিকে) বিরাট কোহলি এবং (মাঝে) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। পিসিবি জানিয়েছিল, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের তিনটি শহরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাবে। কিন্তু আইসিসি সেই দাবি মানল না।

Advertisement

১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই ট্রফি যাওয়ার কথা ছিল স্কার্দু, মুরি এবং মুজফ্‌ফরাবাদে। এই তিনটি শহর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি এই তালিকা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার পরেই আইসিসি জানিয়ে দেয় যে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফিটি। ইসলামাবাদে পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় চূড়া কেটু-তে যাবে সেই ট্রফি। যদিও লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না। সেখানে প্রচুর কুয়াশা। সেই কারণেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না এই তিন শহরে। তবে পাকিস্তানে ট্রফি ট্যুর হচ্ছে বলেই যে সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে এমনটা নয়।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতাটি। সেই কারণেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছিল পিসিবি। গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের সময়ে যেমন ভারতের বিভিন্ন শহরে ট্রফি এসেছিল। কলকাতাতেও ট্রফি এসেছিল সেই সময়।

আগামী বছর পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা। যদিও তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রাজি নয়। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও ভারতের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ কোনও দেশে হতে পারে। যদিও পাকিস্তান এই মডেল মানতে রাজি নয়। এমন হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলার হুমকিও দিয়েছে তারা।

আটটি দল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমস্যার কারণে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ১৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ করছে তারা। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে মাথায় রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে।

নভেম্বরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করার কথা আইসিসি-র। শোনা যাচ্ছে ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফাইনাল হতে পারে ৯ মার্চ। সূচি ঘোষণা হলেও সেখানে কোন মাঠে খেলা হবে তা হয়তো লেখা থাকবে না। সব ম্যাচ পাকিস্তানে না হলেও লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি এবং করাচিতে কিছু ম্যাচ রাখা হবে।

অন্য দিকে, পিসিবি জানিয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে কেন তারা পাকিস্তানে যাবে না। সেই চিঠি বিসিসিআই দেবে। সেখানে পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। প্রথম, সীমান্তে সন্ত্রাস। ভারত এবং পাকিস্তানের সীমান্তে যে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে তার উল্লেখ করবে বোর্ড। দ্বিতীয়, বিসিসিআই মনে করে, পাকিস্তানে গেলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা লক্ষ্য হবেন পাক জঙ্গিদের। তৃতীয়, পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে আক্রমণ করেছিল জঙ্গিরা। সেই উদাহরণ দেবে বোর্ড। চতুর্থ, ২৬/১১ জঙ্গি আক্রমণের পর থেকে ভারতে এই ধরনের যে ঘটনা ঘটেছে তার উল্লেখ থাকবে। পঞ্চম, গত এক বছরে ভারতে যে যে জঙ্গি আক্রমণ হয়েছে তার উল্লেখ থাকবে।

আরও পড়ুন
Advertisement