মত্ত অবস্থায় স্ত্রী এবং ছেলেকে মারধর এবং গালিগালাজ করায় অভিযুক্ত কাম্বলি। ছবি: টুইটার।
আবার বিতর্কে জড়ালেন বিনোদ কাম্বলি। সচিন তেন্ডুলকরের বাল্যবন্ধুর বিরুদ্ধে এ বার বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রী মারধর, হেনস্থা এবং গালিগালাজ করার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কিছু দিন আগে চাকরি খোঁজ করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন কাম্বলি। আবার তিনি উঠে এলেন শিরোনামে। প্রাক্তন ক্রিকেটার অভিযুক্ত পারিবারিক হিংসার অভিযোগে। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বার বার মারধর, গালিগালাজ এবং হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। কাম্বলির স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বান্দ্রা থানায় এফআইআর করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ (স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা) এবং ৫০৪ (অপমান করা) ধারায় কাম্বলির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর স্ত্রী আন্দ্রিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় কাম্বলি রান্না করার পাত্রের হাতল দিয়ে তাঁর মাথায় মেরেছেন। তার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রায় নিত্যদিনের এই সমস্যার সমাধান চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দ্রিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। মত্ত অবস্থায় রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে সামান্য বচসা হয় কাম্বলির। তার পরই স্ত্রীকে মারধর এবং গালিগালাজ করেন তিনি। ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তাঁদের ১২ বছরের ছেলে। ছেলে কাম্বলিকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রাইং প্যান এনে স্ত্রীর মাথা লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন কাম্বলি।
পুলিশকে কাম্বলির স্ত্রী বলেছেন, ‘‘শান্ত করার চেষ্টা করেও আমি এবং ছেলে সফল হইনি। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দু’জনকে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমাদের মারধর করতে শুরু করে। রান্নাঘর থেকে ফ্রাইং প্যান নিয়ে ছুড়ে মারে আমাকে। তার পরেও থামেনি। ক্রিকেট ব্যাট দিয়েও মারধর করে আমাদের। কোনও ভাবে ওকে থামিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি।’’
বান্দ্রা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর আন্দ্রিয়া প্রথমে ভাবা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখান থেকেই তিনি থানায় যান এবং স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। ঘটনার পর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন কাম্বলি। তাই রাতে তাঁর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। কাম্বলির খোঁজ করছে পুলিশ। পারিবারিক হিংসা এবং বধূ নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে বিতর্কিত প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।