বিনোদ কাম্বলি। —ফাইল চিত্র।
বিনোদ কাম্বলিকে সাহায্য করতে তৈরি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যেরা। ১৯৮৩ সালে প্রথম বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলের অধিনায়ক কপিল দেব জানিয়েছিলেন, তিনি কাম্বলির পাশে দাঁড়াতে চান। সুনীল গাওস্করও কাম্বলির দায়িত্ব নিতে তৈরি।
কাম্বলিকে নিজের ছেলের সঙ্গে তুলনা করলেন গাওস্কর। তিনি বলেন, “১৯৮৩ সালে যে দল বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই দলের ক্রিকেটারেরা পরের প্রজন্মকে খুবই স্নেহ করে। আমার কাছে তো ওরা নাতির মতো। কেউ কেউ আমার ছেলের বয়সি। আমরা ওদের সকলের খেয়াল রাখি। বিশেষ করে যখন ভাগ্য ওদের সঙ্গ দেয় না। সাহায্য শব্দটা আমার পছন্দ নয়। আমাদের বিশ্বকাপজয়ী দল চায় ওদের খেয়াল রাখতে। আমরা কাম্বলির পাশে দাঁড়াতে চাই। কী ভাবে সেটা করা যায় দেখতে হবে। আমরা সেই সব ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়াতে চাই, যাঁদের ভাগ্য সঙ্গ দিচ্ছে না।”
কিছু দিন আগে কাম্বলিকে দেখা গিয়েছিল কোচ রমাকান্ত আচরেকরের স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। কাম্বলি আগে এসে মঞ্চের এক ধারে নির্দিষ্ট আসনে বসেছিলেন। কিছু ক্ষণ পরেই আসেন সচিন। মঞ্চে উঠেই তিনি দেখতে পান বন্ধু কাম্বলিকে। এগিয়ে যান তাঁর কাছে। কাম্বলির হাত ধরে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন সচিন। সে সময় দু’জনকেই হাসতে দেখা যায়। দু’জনের কথা বলার সময়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কাম্বলির যে চেহারা দেখা গিয়েছে, তা দেখে অনেকেই মনে করছেন তিনি অসুস্থ।
কিছু দিন আগে কাম্বলির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছিল, প্রাক্তন ক্রিকেটার ঠিক মতো হাঁটতে পারছেন না। দেখে তাঁকে অসুস্থ মনে হয়েছিল। তারও কিছু দিন আগে নিজের আর্থিক অনটনের কথা বলে চাকরির আবেদন করেছিলেন কাম্বলি।
২০১৩ সালে মুম্বইয়ে গাড়ি চালানোর সময়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কাম্বলি। তার পর থেকে নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত বছর তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হয়। ২০২৩ সালে স্ত্রী আন্দ্রেয়ার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় কাম্বলির। তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী।
কিছু দিন আগে একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হাঁটতেই পারছেন না ভারতের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁকে অন্যের সাহায্য নিয়ে কষ্ট করে হাঁটতে হচ্ছে। ভিডিয়োটি নিমেষের মধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কাম্বলি পরে একটি ভিডিয়োয় বলেন, “আমি ভাল আছি। ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে আছি। সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছি। তিন নম্বরে ব্যাট করার জন্য তৈরি। শিবাজি পার্কে আগে যেমন স্পিনারদের মাঠের বাইরে ফেলতাম আবার সেটা করতে রাজি।”