শতরানের পরে ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক। ছবি: রয়টার্স।
দু’ম্যাচে হারার পর অবশেষে জয় ফিরল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে হারাল তারা। শতরান করলেন দলের অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। এই জয়ের ফলে সিরিজ় বাঁচিয়ে রাখল ইংরেজরা। পাঁচ ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২-১।
তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। টস জিতে সেই কারণে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান ব্রুক। শুরুটা ভাল না হলেও তৃতীয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ধরেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন। স্মিথ ৬০ রান করেন। গ্রিন করেন ৪২ রান। রান পাননি মার্নাশ লাবুশেন। শূন্য রানে আউট হন তিনি।
স্মিথ, লাবুশেন ও গ্রিন আউট হওয়ার পরে আবার চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে দলকে টানেন অ্যালেক্স ক্যারে ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দু’জনের মধ্যে ৫৪ রানের জুটি হয়। ম্যাক্সওয়েল ৩০ রান করেন। তার পরে ক্যারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অ্যারন হার্ডি। সপ্তম উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন তাঁরা। হার্ডি ৪৪ রান করেন। ক্যারের ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয় ইংল্যান্ডেরও। মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। সল্ট শূন্য রানে আউট হন। দেখে মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেই সিরিজ় জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ২২ রানে ২ উইকেট পড়ার পরে পাল্টা লড়াই করলেন উইল জ্যাকস ও ব্রুক। আক্রমণাত্মক ব্যাট করেন তাঁরা। দ্রুত রান করছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলার তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি।
দুই ব্যাটারের মধ্যে ১৫৬ রানের জুটি হয়। ধীরে ধীরে শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৮৪ রানের মাথায় গ্রিনের বলে আউট হন জ্যাকস। ব্রুক অবশ্য রানের গতি কমাননি। তাঁকে সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে ইংল্যান্ড। ঠিক সেই সময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আর খেলা শুরু করা যায়নি।
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৪৬ রানে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। ব্রুক এক দিনের ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরান করেন। ৯৪ বলে ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। লিভিংস্টোন ২০ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।