অনুষ্টুপ মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
দলীপ ট্রফিতে দ্বিতীয় দিনের শেষে চাপে পড়ে গেল পূর্বাঞ্চল। আল্লুরে মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বাংলার ব্যাটারেরা। মাত্র ১২২ রানে শেষ হয়ে গেল পূর্বাঞ্চলের ইনিংস। অন্য ম্যাচে ৪৭৫ রানে এগিয়ে উত্তরাঞ্চল। বৃষ্টির জন্য দু’টি ম্যাচেই পুরো ওভার খেলা হয়নি। চার দিনের ম্যাচে চাপে পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল।
প্রথম দিনে মধ্যাঞ্চল ১৮২ রানে শেষ হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২২ রান করে পূর্বাঞ্চল। প্রথম দিনেই দুই ওপেনার আউট হয়ে গিয়েছিলেন। বাকিরাও রান করতে পারলেন না। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ কোনও রানই করতে পারেননি। প্রথম বলেই আউট হন তিনি। দ্বিতীয় দিনে বাংলার সুদীপ ঘরামি ২৭ রান করে আউট হন। অনুষ্টুপ মজুমদার করেন মাত্র চার রান। শাহবাজ় আহমেদ করেন তিন রান। রান পাননি আকাশ দীপ এবং ঈশান পোড়েলও। পূর্বাঞ্চলের হয়ে সব থেকে বেশি রান অসমের রিয়ান পরাগের। ৩৩ রান করেন তিনি।
মধ্যাঞ্চলের পেসার আবেশ খান এবং শিবম মাভির দাপট দেখা যায় আল্লুরে। তাঁরা দু’জনে মিলে পাঁচ উইকেট নেন। তিন উইকেট নেন স্পিনার সৌরভ কুমার। ৬০ রানে লিড পায় মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চলের বোলারদের উপর চেপে বসেন দুই ওপেনার হিমাংশু মন্ত্রী (২৫ রানে অপরাজিত) এবং বিবেক সিংহ (৩৪ রানে অপরাজিত)। তাঁরা ৬৪ রানের জুটি গড়েছেন। পূর্বাঞ্চল পাঁচ বোলার ব্যবহার করেও উইকেট তুলতে পারেনি। তবে আকাশ এবং ঈশানের বলে খুব একটা স্বচ্ছন্দ দেখায়নি হিমাংশুদের। যদিও উইকেট দেননি তাঁরা।
অন্য ম্যাচে ৫৪০ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয় উত্তরাঞ্চল। প্রথম দিনে শতরান করেছিলেন ধ্রুব শোরে। দ্বিতীয় দিনে শতরান করলেন ১৯ বছরের নিশান্ত সিন্ধু এবং ২১ বছরের হর্ষিত রানা। নিশান্ত অলরাউন্ডার এবং হর্ষিত বোলার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন হর্ষিত। ১২২ রান করলেন তিনি। নিশান্ত আউট হন ১৫০ রানে। তিনি চেন্নাই সুপার কিংস দলে ছিলেন। তাঁদের দাপটে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় উত্তরাঞ্চল। ব্যাট করতে নেমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্কোর ৬৫/৩। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বলতেজ সিংহ, সিদ্ধার্থ কৌল এবং হর্ষিত। উত্তর পূর্বাঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে ৪৭৫ রানে।