কোহলীদের হারে হতাশ সৌরভ। ফাইল ছবি।
মনের সুখে জন্মদিন কাটাবেন বলে লন্ডনে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় কী! জন্মদিনেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন পড়ে বিরাট কোহলীদের দিকে। কী করে এজবাস্টনে হারল ভারত, এখনও মাথায় ঢুকছে না সৌরভের।
সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও যশপ্রীত বুমরা, বিরাট কোহলীরা যে ভাবে হারলেন, তা মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। ইংল্যান্ডে ৫০তম জন্মদিন পালন করছেন সৌরভ। তার মধ্যেই ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের মনে খোঁচা দিচ্ছে এজবাস্টনে ভারতের লজ্জাজনক হার। সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও ভারতের হারের কারণ খুঁজছেন তিনি। হতাশার সুরে সৌরভ বলেছেন, ‘‘জানি না এজবাস্টন টেস্ট কী করে হারল ভারত।’’ উল্লেখ্য, চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৭৮ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটার জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টো অনবদ্য খেলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান।
তাঁদের জুটির সঙ্গে সৌরভ মিল পাচ্ছেন ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনে রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের জুটির। তাঁদের জুটিতে উঠেছিল ৩৭৬ রান। সে সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ। সেই জয়ের প্রসঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘‘ওই জয়টা ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল। দলে পরিবর্তন এনেছিল। দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছিল। বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল, আমরা যে কোনও জায়গায়, সব জায়গায় জিততে পারি। আমার মনে হয়, ওই ম্যাচটা আমাদের দলের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট।’’
ইংল্যান্ডে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরও। বুধবারই তিনি স্ত্রী অঞ্জলির সঙ্গে লন্ডনে সৌরভের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন। ভারতীয় দলের কোচ দ্রাবিড় এবং টি-টোয়েন্টি দলের কোচ হিসাবে যাওয়া লক্ষ্মণও রয়েছেন সেখান। অর্থাৎ, সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মূল চার ব্যাটারই এখন সেখানে। সকলেই বিসিসিআই সভাপতিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সচিন আগেই বলেছেন, সৌরভের নেতৃত্ব কী ভাবে বদলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটকে। অধিনায়ক সৌরভ কী ভাবে সামলে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের পালাবদলের অধ্যায়। কী ভাবে তরুণদের পাশে থাকতেন। তাঁদের সমর্থন করতেন।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহও রয়েছেন ইংল্যান্ডে। সৌরভের ভারতীয় দলের অন্যতম অস্ত্র রয়েছেন মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। সৌরভের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে না পারলেও, অধিনায়ক সৌরভের নানা দিক তুলে ধরেছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি কী ভাবে ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে এনেছিলেন, তা জানিয়েছেন হরভজন।
সকলেই সৌরভের জন্মদিন নিয়ে মেতে থাকলেও ৫০তম জন্মদিনের আবহেও তাঁর মন জুড়ে ভারতীয় ক্রিকেট। বিসিসিআই সভাপতি বা প্রাক্তন অধিনায়ক— জয়ই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।