ম্যাচ জিতিয়ে উল্লাস দিল্লির আশুতোষ শর্মার। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংসের ১৫তম ওভার পর্যন্তও কেউ ভাবেনি তারা খেলায় জিতবে। কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস ছিল আশুতোষ শর্মার। সতীর্থ বিপরাজ নিগমের সঙ্গে মিলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান তিনি। বিপরাজ আউট হলেও আশুতোষ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর ইনিংসে ১ উইকেটে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারায় দিল্লি। খেলাশেষে বিশেষ এক জনের ফোন পেলেন আশুতোষ। তাঁর মেন্টর শিখর ধওয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে ক্রিকেটারের।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়েই প্রথমে ধওয়ানের কথা বলেন আশুতোষ। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার আমি আমার মেন্টর শিখর পাজিকে উৎসর্গ করছি।” তার পরে তিনি সাজঘরে ফেরার আগেই ধওয়ান তাঁকে ফোন করেন। দিল্লি ক্যাপিটালস একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধওয়ানের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছেন আশুতোষ। তাঁকে ভিডিয়ো কলেই প্রণাম করতে দেখা যায়। ধওয়ানকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনিও কতটা খুশি। ফোন শেষে আশুতোষ বলেন, “শিখর পাজি খুব খুশি। আমি ওঁকে খুব ভালবাসি।”
২০২৪ সালের আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক ছিলেন ধওয়ান। সে বারের প্রাক্-মরসুম শিবিরে আশুতোষের দেখা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। আশুতোষের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ধওয়ান। তাঁকে নিজের একটি ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যাট দিয়ে রেলওয়েজ়ের হয়ে রঞ্জি অভিষেকে গুজরাতের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন আশুতোষ।
পরে ২০২৪ সালের নিলামে আশুতোষকে কেনে পঞ্জাব। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেলেন তিনি। আশুতোষ জানিয়েছেন, তাঁর উন্নতির নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে ধওয়ানের। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের কারণেই তিনি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে সেই আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছে। সেই কারণেই হয়তো সকলের আগে ধওয়ানের কথা মনে পড়েছে আশুতোষের। এ বারের আইপিএলে ধওয়ানকে কোনও দল কেনেনি। তবে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আশুতোষও এ বার পঞ্জাবে নেই। ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছে দিল্লি। সেই ভরসার দাম দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২১০ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় সাত রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল দিল্লির। ৬৫ রানে অর্ধেক দল সাজঘরে ফেরে। তখন ব্যাট করতে নামেন আশুতোষ। এক সময় ২০ বলে ২০ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিপরাজ নামার পর থেকে খেলার ছবি বদলে যায়। তরুণ এই ব্যাটার ১৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। আশুতোষ পরের ১১ বলে ৪৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।