ইডেন গার্ডেন্স। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ইডেন থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল। এই উপদেশ দিয়েছেন সাইমন ডুল। নিউ জ়িল্যান্ডের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্ষুব্ধ ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়ের উপর। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তিনি সুজনের সমালোচনা করেন। বাদ যাননি আর এক ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেও।
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর পিচের চরিত্র কিছুটা বদলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। কেকেআরের অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, স্পিন সহায়ক পিচ হলে তাঁদের সুবিধা হবে। সেই আর্জি মানেননি সুজন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কারও দাবি মেনে পিচ তৈরি করবেন না। তিনি যত দিন দায়িত্বে রয়েছেন তত দিন পিচ বদলাবে না। এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ডুল পরামর্শ দিয়েছেন, দরকার পড়লে ইডেন থেকে কেন্দ্র সরিয়ে নিক কেকেআর। তিনি বলেন, “যদি পিচ প্রস্তুতকারক কথা শুনতে না চায় তা হলে কেকেআরের উচিত ইডেন থেকে কেন্দ্র সরিয়ে ফেলা। পিচ প্রস্তুতকারকের কাজ নিজের মতামত দেওয়া নয়। দলের চাহিদা মেনে কাজ করা। সেই জন্য তাকে টাকা দেওয়া হয়। মতামত দেওয়ার জন্য হয় না।”
কেকেআরের শক্তি স্পিন বোলিং। দলে বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন, মইন আলির মতো স্পিনার রয়েছেন। গুয়াহাটির মাঠে দেখা গিয়েছে, যে পিচে স্পিনারেরা সাহায্য পাবেন, সেই পিচে কলকাতাকে হারানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ঘরের মাঠে সেই সুবিধা পাচ্ছে না তারা।
আইপিএলে সব দলই নিজেদের শক্তি অনুযায়ী ঘরের মাঠে পিচ তৈরি করে। চেন্নাই সুপার কিংস প্রতি বছর চিপকে স্পিন সহায়ক উইকেট করে। আবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিজেদের ঘরের মাঠে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরি করে। কিন্তু ইডেনে তা দেখা যাচ্ছে না গত কয়েক বছর। সেখানে আগে বোলারেরা কিছুটা সুবিধা পেতেন। ধীরে ধীরে তা কমছে। ব্যাটারেরা দাপট দেখাচ্ছেন। গত বার প্রায় প্রতি ম্যাচে বড় রান হয়েছে। কেকেআরের বিরুদ্ধে ২২৮, ২৬২ রানও তাড়া করেও প্রতিপক্ষ জিতেছে। সেটাই হয়তো চাইছেন না রাহানে। সেই কারণে তিনি স্পিন সহায়ক উইকেট চেয়েছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ সুজন।
ভোগলের মতে, তিনি যদি কেকেআরে থাকতেন তা হলে পিচ প্রস্তুতকারকের এই সিদ্ধান্ত তাঁকে হতাশ করত। ভোগলে বলেন, “যদি আমি কেকেআরে থাকতাম, তা হলে খুব হতাশ হতাম। আমি তো ১২০ রানের পিচ চাইছি না। আমি চাইছি এমন একটা পিচ যেখানে আমার বোলারেরা ম্যাচ জেতাতে পারবে। আমি যেমন ১২০ রানের পিচ চাইছি না, তেমনই ২৪০ রানেরও পিচ চাইছি না। কিন্তু আমার মনে হয়, আইপিএলে প্রতিটা দল ঘরের মাঠের সুবিধা নেয়। এটা তাদের পরিকল্পনার অঙ্গ। কিন্তু কেকেআর সেটা পাচ্ছে না।”