RR vs CSK

নীতীশের ৮১, শুরুটা ভাল করেও ভেঙে পড়ল রাজস্থান, জয়ে ফিরতে ধোনিদের চাই ১৮৩

ইনিংসের মাঝামাঝি মনে হচ্ছিল দুশো পেরিয়ে যাবে রাজস্থানের রান। তবে চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের সামনে আচমকাই ভেঙে পড়ল সঞ্জু স্যামসনের দল। গুয়াহাটিতে ১৮২/৯ রানেই আটকে গেল তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ২১:১৯
cricket

আউট হয়ে ফিরছেন নীতীশ রানা। ছবি: পিটিআই।

ইনিংসের মাঝামাঝি মনে হচ্ছিল দুশো পেরিয়ে যাবে রাজস্থানের রান। তবে চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের সামনে আচমকাই ভেঙে পড়ল সঞ্জু স্যামসনের দল। গুয়াহাটিতে ১৮২/৯ রানেই আটকে গেল তারা। নতুন দলের হয়ে ভাল খেললেন নীতীশ রানা (৮১)। তবে গত পাঁচ বছরে কখনও ১৮০-র বেশি রান তাড়া করে জেতেনি চেন্নাই।

Advertisement

চলতি আইপিএলে এই প্রথম বিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমেছিল চেন্নাই। দেখা গেল, এই মরসুমেও ধোনি-প্রেম কমেনি সমর্থকদের। গোটা স্টেডিয়ামেই হলুদ জার্সির ছড়াছড়ি। খেলাটা বর্ষাপারা না চিপকে, সেটা গুলিয়ে যেতে বাধ্য।

টসে জিতে বোলিং নিয়ে শুরুতেই সফল হয় চেন্নাই। খলিল আহমেদকে প্রথম বলে চার মেরেও তৃতীয় বলেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেখান থেকে খেলা ধরে নেয় রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ক্রিজ়‌ে যোগ দেন নীতীশ রানা। আগের দু’টি ম্যাচে রান না পেলেও এই ম্যাচে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন তিনি।

রানার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে চেন্নাইয়ের কোনও বোলারই দাঁড়াতে পারছিলেন না। জেমি ওভার্টন, অশ্বিন, খলিল কাউকেই রেয়াত করছিলেন না রানা। স্যামসন বরং ধীরগতিতে খেলছিলেন। রানাকে বেশি খেলার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। তার মধ্যেই নুর আহমেদের বলে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সঞ্জু (২০)।

তবে রানাকে থামানো যাচ্ছিল না। সামনে যে-ই আসছিলেন, দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলেন। রানা সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন অশ্বিনের উপর। তাঁর বলেই উইকেট খোয়ালেন। তবে এ ক্ষেত্রে ধোনি-অশ্বিনের যুগলবন্দি লক্ষণীয়। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে অশ্বিনকে ছয় এবং চার মারেন নীতীশ। মনে হচ্ছিল মরসুমের প্রথম শতরানটি রবিবারই হয়ে যাবে।

তবে চতুর্থ বলটি করার আগে একটু থমকে যান অশ্বিন। বলটি করেন উইকেটের অনেক বাইরে। ক্রিজ়‌ ছেড়ে এগিয়ে আসা রানা ব্যাট বাড়িয়েও নাগাল পাননি। ধোনি সেই বল ধরে অনায়াসে স্টাম্প ভেঙে দেন। মুহূর্তের অসতর্কতায় আউট হয়ে হতাশ হয়ে পড়েন কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার।

রানা আউট হওয়ার পর রাজস্থানের রানের গতিও কমে যায়। ধ্রুব জুরেল (৩), ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ (৪) বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। চালিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। তিনি ৩৭ রানে ফিরে যান। এক সময় মনে হচ্ছিল রাজস্থান ২০০ পেরিয়ে যাবে। তবে ১৮২/৯ রানেই থেমে যায় তারা।

Advertisement
আরও পড়ুন