bengal cricket

মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে মহাকালের দরবারে লক্ষ্মী, মনোজরা

রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে ইন্দওরের উদ্দেশে রওনা হয় বাংলা। তার পর সোমবার দলের কয়েক জন সদস্য মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। লক্ষ্য রঞ্জির ফাইনালে ওঠা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৮
manoj tiwary, laxmiratan shukla at mahakal mandir

মহাকাল মন্দিরের সামনে লক্ষ্মী, মনোজ, শিবশঙ্কররা। নিজস্ব চিত্র

সামনেই রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল। সামনে মধ্যপ্রদেশ। তার আগে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে এল বাংলা দল। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ছাড়াও ছিলেন বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল। আগামী বুধবার থেকে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলা।

রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে ইন্দোরের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলা। তার পর সোমবার দলের কয়েকজন সদস্য মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। গত বার এই মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেই রঞ্জির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলা। তখন অবশ্য কোচ ছিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। তিনি এখন কেকেআরের কোচ। তবে কোচ বদলালেও মধ্যপ্রদেশের ছন্দ যে একইরকম রয়েছে, তা তাদের ফলাফলেই প্রমাণ।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ দলে রয়েছেন রজত পাটীদার, আবেশ খান, আদিত্য শ্রীবাস্তবের মতো ক্রিকেটাররা। রয়েছেন কোচ পণ্ডিত। সম্প্রতি বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “আমরা নিজেদের দল নিয়ে ভাবছি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে আমরা গত বার খেলেছি। জানি ওরা কেমন খেলে। চেনা দল। ওদের কোচ পণ্ডিত। কিন্তু তিনি তো মাঠে নেমে খেলবেন না। আমরা তাই নিজেদের দল নিয়েই ভাবছি। মধ্যপ্রদেশকে নিয়ে নয়।”

বাংলা দলে রয়েছেন এ বারের রঞ্জিতে ৬ ম্যাচে ৭৩৮ রান করা অভিমন্যু ঈশ্বরন। রয়েছে তিনটি শতরান। গড় ৯২.২৫। রয়েছেন ৮ ম্যাচে ৩১টি উইকেট নেওয়া আকাশ দীপ। তাঁদের সঙ্গে দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদাররা। বাংলার পেস আক্রমণ সামলাতে রয়েছেন মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলরা। রয়েছেন অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। সৌরাশিস বলেছিলেন, “আমাদের দলের প্রতিটি বিভাগের ক্রিকেটাররা ছন্দে রয়েছে। অভিমন্যু, সুদীপ, অনুষ্টুপরা রান পাচ্ছে। দুই আকাশ, মুকেশ, ঈশানরা উইকেট নিচ্ছে। সঙ্গে শাহবাজ় রয়েছে। ব্যাটে, বলে ও ধারাবাহিক ভাবে সফল।”

যদিও চিন্তা রয়েছে একটি জায়গায়। বাংলার ওপেনিং জুটি। একাধিক ক্রিকেটারকে খেলানো হলেও কেউ রান পাননি। সেমিফাইনালে তাই দলের আবার জুড়ে দেওয়া হল করণ লালকে। যিনি গ্রুপ পর্বে ওপেন করেছিলেন বাংলার হয়ে। তবে সেটা নিয়ে বিশেষ ভাবছে না বাংলা। কারণ ওপেনার সমস্যা ঢেকে দিচ্ছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। সৌরাশিস উচ্ছ্বসিত আকাশ ঘটককে নিয়ে। তরুণ অলরাউন্ডার সম্পর্কে বাংলার সহকারী কোচ বলেছিলেন, “আকাশ অনূর্ধ্ব-২৫ দলে ভাল খেলেছিল। লক্ষ্মীরতন শুক্ল ওকে দলে নিয়ে আসে। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে আকাশ ঘটক। আগামী দিনে অলরাউন্ডার হিসাবে ও দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।”

পর পর তিনটি রঞ্জির সেমিফাইনালে উঠল বাংলা। ২০১৯-২০ সালে ফাইনালে হারতে হয়েছিল সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ২০২০-২১ সালে করোনার জন্য রঞ্জি হয়নি। এ বার আবার সেমিফাইনালে। সৌরাশিসের কথায়, “লাল বলের ক্রিকেটে দেশের সব থেকে ধারাবাহিক দল বাংলা। আমরা সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলেছি। ট্রফি আসেনি। কিন্তু আমরা ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছি। গত বার সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশ আমাদের কিছু চমক দিয়েছিল। কিন্তু এ বার আমরা জানি ওদের দলে কী কী শক্তি আছে। আমাদের দলেও পাল্টা উত্তর দেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement