নির্দিষ্ট দিনের এক সপ্তাহ আগে বেঙ্গালুরু পৌঁছে যাচ্ছে বাংলা দল। দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। সে রকমই ব্যবস্থা করেছে সিএবি।
মনোজ তিওয়ারি। ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফির নক-আউট পর্বের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না বাংলা। তাই নির্দিষ্ট দিনের এক সপ্তাহ আগে বেঙ্গালুরু পৌঁছে যাচ্ছে বাংলা দল। দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। সে রকমই ব্যবস্থা করেছে সিএবি।
এ বারের রঞ্জি ট্রফির পুরো নক-আউট পর্বটিই বেঙ্গালুরুতে হবে। ৬ জুন থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাকে খেলতে হবে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী আটটি দলেরই বেঙ্গালুরু পৌঁছনোর কথা ৩ জুন। কিন্তু বাংলা দল তারও এক সপ্তাহ আগে বেঙ্গালুরু পৌঁছে যাবে।
সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, দু’দিনের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলা। প্রথমটি ২৯ ও ৩০ মে। দ্বিতীয়টি ৪ ও ৫ জুন। কাদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন অভিমন্যু, মনোজ তিওয়ারিরা? স্নেহাশিস বললেন, ‘‘কোয়ার্টার ফাইনালে যে দলগুলো উঠেছে, তাদের মধ্যেই যে কোনও দুটো দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলা। দুটো দল এখনও ঠিক হয়নি। কিছু দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আর প্রস্তুতি তো চলছেই। প্রায় সব ক্রিকেটারই এখন ক্লাব ক্রিকেটে খেলছে।’’ বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা বাকি ছ’টি দল মুম্বই, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশ। এদের কারও সঙ্গেই প্রস্তুতি সারার সুযোগ পাবে অরুণ লালের দল।
প্রথমে ঠিক ছিল, রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালগুলি শুরু হবে ৪ জুন থেকে। সে ক্ষেত্রে দলগুলিকে ১ জুন পৌঁছনোর কথা বলেছিল বোর্ড। কিন্তু পরে ম্যাচ দু’দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরিবর্তিত সূচিতে সেমিফাইনাল ১৪ থেকে ১৮ জুন এবং ফাইনাল ২২ থেকে ২৬ জুন হওয়ার কথা।
বাংলা দল নিয়ে আশাবাদী স্নেহাশিস। বাংলার শেষ রঞ্জিজয়ী দলের সদস্য বললেন, ‘‘দলটা এ বার খুব ভাল খেলছে। এলিট গ্রুপের ৩২টা দলের মধ্যে বাংলার পয়েন্টই সব থেকে বেশি। মোট ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা শীর্ষে থেকে শেষ আটে উঠেছে। ফলে এই দল নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।’’
ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও করছে সিএবি। তার জন্য বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে জোর দেওয়া হচ্ছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে ‘ভিশন ২০২০’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন, সেটিও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন স্নেহাশিস। সৌরভ যখন সিএবি সভাপতি ছিলেন তখন যেমন ভিভিএস লক্ষ্মণ, মুথাইয়া মুরলীধরনরা ভিশন ২০২০ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, এ বারও সে রকম কাউকে আনার চেষ্টায় রয়েছে সিএবি। তিন-চার জনের সঙ্গে কথাবার্তাও এগিয়েছে বলে জানালেন স্নেহাশিস।