বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র
তৃতীয় দিনে মাত্র ৩ উইকেট পড়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে অন্ধ্রের বাকি সব উইকেট ফেলে দিলেও লিড নিতে পারল না বাংলা। প্রথম সেশনে ১০৬ রান করল অন্ধ্র। ফলে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রানের লিড নিয়ে নিল তারা।
অন্ধ্রের ইনিংস টানলেন সেই রিকি ভুঁই। তৃতীয় দিনেই শতরান করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি। শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। রিকিকে সঙ্গ দেন নীতীশ রেড্ডি ও শোয়েব মহম্মদ খান। নীতীশ করেন ৩০ রান। শোয়েবের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান।
তৃতীয় দিনের শেষে ৭০ রানে এগিয়ে ছিল বাংলা। চতুর্থ দিন দ্রুত উইকেট ফেলতে পারলে একটা সুযোগ ছিল লিড নেওয়ার। কিন্তু রিকি তা হতে দিলেন না। ঠান্ডা মাথায় খেললেন তিনি। একের পর এক উইকেট পড়লেও তাঁকে টলানো যাচ্ছিল না।
অন্ধ্র বাংলার রান টপকে যাওয়ার পরে দ্রুত খেলা শুরু করেন রিকি। শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রান করে আউট হন তিনি। ইনিংসে ২৩টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। রিকি আউট হওয়ার সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় অন্ধ্রের ইনিংস। ৪৪৫ রানে অল আউট হয় তারা।
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ায় ম্যাচ ড্র হলে ৩ পয়েন্ট পাবে অন্ধ্র। অন্য দিকে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মনোজ তিওয়ারিদের।