তামিমের ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ছবি: টুইটার।
কয়েক দিন আগেই ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে ক্রিকেটারদের জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিলেন অধিনায়কই। তামিম ইকবালের একটি ডিআরএস চাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
ঘটনাটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচের। শুক্রবার ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৪৮তম ওভারে বল করছিলেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটার ছিলেন আদিল রশিদ। ওভারের শেষ বলে তাসকিনের ইয়র্কার ছিল অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে। রশিদ ব্যাটের মাঝখান দিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন। ব্যাটের কাছে আদিলের বাঁ পা থাকলে মাঝে কয়েক ইঞ্চি ফাঁক ছিল। তবু এলবিডব্লিউ আউটের জন্য আবেদন করেন বাংলাদেশের জোরে বোলার। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় খুশি হননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। অষ্টম উইকেটের খোঁজে থাকা তামিম ডিআরএসের আবেদন করেন।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আদিলের পায়ে লাগেইনি। বরং ইংল্যান্ডের স্পিনার দক্ষতার সঙ্গেই ব্যাটের মাঝের অংশ দিয়ে খেলেছেন তাসকিনের ইয়র্কারটি। ব্যাটের সঙ্গে প্যাডের স্পর্শ হয়নি। বলও পায়ের থেকে দূরে ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আদিলের উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। তবে তামিম, তাসকিনদের ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। খেলার স্বাভাবিক গতিতে পরিষ্কার বোঝা গেলেও তাসকিনের আউটের আবেদন প্রথমেই বিস্মিত করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তাঁদের বিস্ময় আরও বাড়ে তামিমের ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্তে। অনেকে রসিকতা করেছেন। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, জঘন্যতম ডিআরএসের আবেদন।
What prize do Bangladesh get for making the worst LBW review call in the history of cricket? pic.twitter.com/SfJWRdCpXc
— Jon Reeve (@jon_reeve) March 3, 2023
বাংলাদেশ অবশ্য দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজ়ে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে আয়োজকরা। সিরিজ়ের তৃতীয় ম্যাচ সোমবার চট্টগ্রামে।