জয় দিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু করলেন শাকিবরা। ছবি: টুইটার।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে জস বাটলাররা করেন ৬ উইকেটে ১৫৬ রান। জবাবে ২ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করলেন শাকিব আল হাসানরা।
এক দিনের সিরিজ় ১-২ ব্যবধানে হেরেছে তামিম ইকবালের দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জয় দিয়ে শুরু করল শাকিবের দল। লক্ষ্য বড় না হওয়ায় নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েও জয়ের লক্ষ্যে পৌছে গেল বাংলাদেশ। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর প্রথম ২০ ওভারের ম্যাচেও রান পেলেন না লিটন দাস। ইনিংস শুরু করতে নেমে তিনি করলেন ১০ বলে ১২ রান। বাংলাদেশের অন্য ওপেনার রনি তালুকদার করলেন ১৪ বলে ২১। ৪৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আয়োজকদের ইনিংস। এর পর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসকে নেতৃত্ব দিলেন শান্তই। তিনি খেললেন ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস। মারলেন আটটি চার। বাংলদেশের একমাত্র ছক্কাটি মারলেন তৌহিদ। তিনি ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে করলেন ১৭ বলে ২৪ রান।
২ উইকেটে ১০৮ থেকে হঠাৎই বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১১২ হয়ে গিয়ে আবারও কিছুটা চাপে পড়ে। এ বার দলের হয়ে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক। শাকিব ২৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৬টি চার। শেষ পর্যন্ত ২২ গজে সঙ্গী হিসাবে পেলেন আফিফ হোসেনকে। তিনি করলেন ১৩ বলে ১৫ রান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান শাকিব। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বাটলাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লড়াই করার মতো রান বোর্ডে উঠলেও জেতার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ইংরেজ অধিনায়ক ছাড়া দলের কেউই তেমন রান পেলেন না। ওপেন করতে নেমে বাটলার করলেন ৪২ বলে ৬৭ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৪টি করে চার এবং ছক্কা। অন্য ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। প্রথম উইকেটের জুটিতে ১০ ওভারে ৮০ রান ওঠার পর সফরকারীদের ইনিংসে ধস নামে। রান পেলেন না দাউইদ মালান (৪), সাম কারেন (৬), ক্রিস ওয়েকসরা (১)। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেও বড় রান পেলেন না বেন ডাকেট। ১৩ বলে ২০ রান করলেন ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশের সফলতম বোলার হাসান মাহমুদ ২৬ রানে ২ উইকেট নিলেন। বাকি বোলাররা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ২৬ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশ অধিনায়কের।