ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক। যৌন কেলেঙ্কারিতে উত্তাল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। এর জেরে পদত্যাগ করলেন টেস্ট দলের অধিনায়ক টিম পেন। তাঁর বিরুদ্ধেই যাবতীয় অভিযোগ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা কর্মী। বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কমিশনেও গিয়েছে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেই পদত্যাগের কথা জানান পেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ত্রিকেট বোর্ড তা মেনে নিয়েছে।
ঘটনাটি ২০১৭ সালে ব্রিসবেনের গাব্বায় অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের দিন এবং তার আগের দিনের। অস্ট্রেলিয়ার ‘হেরাল্ড সান’ সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, পেন এক মহিলা কর্মীকে নিজের কিছু অশ্লীল ছবি পাঠান। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রকাশের অযোগ্য কিছু ভাষায় ম্যাসেজ পাঠান।
২০১৮ সালের জুন মাসে ওই মহিলা বিষয়টি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানান, পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কমিশনেও পেনের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন এই মহিলা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তদন্ত শুরু করে।
শুক্রবার নিজের অপরাধ স্বীকার করে পেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
লিখিত বিবৃতিতে পেন জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের পদ থেকে আমি সরে যাচ্ছি। খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু নিজের, পরিবার ও ক্রিকেটের জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।’
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে পেন লেখেন, ‘প্রায় চার বছর আগের ঘটনা এটা। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এর জন্য আমার আক্ষেপের শেষ নেই। তখনই স্ত্রী এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওরা আমার পাশে রয়েছে। আমাকে ক্ষমা করেছে। তার জন্য আমি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা ভেবেছিলাম, বিষয়টি মিটে গিয়েছে। ফলে গত তিন-চার বছর ধরে আমি সম্পূর্ণ ভাবে ক্রিকেটে মন দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখলাম বিষয়টি জনসমক্ষে এসেছে। তখন যা করেছি, সেটা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পক্ষে কখনোই করা উচিত নয়। তা ছাড়া স্ত্রী, পরিবারকেও আঘাত দিয়েছি।’
এটা পড়ার পরেই কেঁদে ফেলেন পেন। বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সামনেই অ্যাশেজ সিরিজ আছে। অস্ট্রেলিয়া দলের একজন সদস্য হিসেবে নিজের পুরোটা দেব।’’
২০১৮ সালে আর এক বিতর্কের জেরে পেনকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক করা হয়েছিল। সে বার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল বিকৃতির অভিযোগে তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে দু’ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। এরপর আরও এক বিতর্ক। আরও এক নতুন অধিনায়ক পাবে অস্ট্রেলিয়া।