শাকিবদের ব্যাটিং নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের ডিরেক্টর। ছবি: টুইটার।
মেহদি হাসানরা মাঠে দেখে নেওয়ার কথা বললেও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ছিটকে গিয়েছে এশিয়া কাপ থেকেও। এর পরেই দলের ব্যাটারদের এক হাত নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর খালেদ মেহমুদ। তাঁর বক্তব্য, দলের ব্যাটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলাতেই পারছে না।
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার জন্য ব্যাটারদেরই দুষেছেন মেহমুদ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেহমুদ। শাকিব আল হোসেনরা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে আর ক্ষোভ সামলাতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের ডিরেক্টর বলেছেন, ‘‘১৫-২০টা বল রক্ষণাত্মক ভাবে খেলার পর আউট হয়ে যাচ্ছে সবাই। খুবই হতাশার। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেটে ৫০ বা কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান হলে ঠিক আছে। কিন্তু উইকেট পড়ে গেল অথচ রান হল না, এই চাপ নেওয়া যায় না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে হলে পাওয়ার প্লেতে ভাল খেলা গুরুত্বপূর্ণ।’’
জিম্বাবোয়ে সফরের পর এশিয়া কাপেও ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছেন না মেহমুদ। ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘যত ক্ষণ তুমি দলের হয়ে খেলছ, তত ক্ষণ সব কিছু ঠিক মতো করা উচিত। সব সময় দলে জায়গা হারানোর ভয় নিয়ে খেললে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা যায় না। টেস্ট ক্রিকেটে তবু কিছুটা স্বার্থপর ভাবে খেলা যায়। টেস্টে শতরান করতে ৩০০ বল নিলেও কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তেমন সুযোগ নেই। এখানে ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলতে হয়। দলে জায়গা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে খেলার কোনও অর্থ হয় না। সেই সাহস না থাকলে দলে থাকাই উচিত নয়।’’
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলাতে পারছেন না বলেই মনে করছেন মেহমুদ। বাংলাদেশ দলের ডিরেক্টর বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটারদের দেখে মনেই হচ্ছে না ওরা আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ সামলাতে পারে বলে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ ক্রিকেটারদেরই খুঁজে বের করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভাল ফল করতে হলে এই ব্যাটিং চলবে না। সাধারণ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধেও এমন ব্যাটিং করলে হবে না। টেকনিক ভাল হলেও কৌশল এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে উন্নতি দরকার আমাদের।’’
বাংলাদেশ কেন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে? প্রস্তুতিতে কি ফাঁক থেকে যাচ্ছে? মেহমুদ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাধ্যমতো সেরা পরিকাঠামো এবং সুবিধা দেয় প্রস্তুতির জন্য। আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সামলানোর জন্য তিন জন স্পিনারকে উড়িয়ে আনা হয় দুবাইয়ে। তা-ও বাংলাদেশের ব্যাটাররা কেউই পারফর্ম করতে পারেননি। মেহমুদ বলেছেন, ‘‘আমাদের ব্যাটাররা কেন এত ভয় পায়, সেটা বোঝা কঠিন। বিশেষ করে আফগানিস্তানের রশিদ খানকে। আমরা এখানে তিন স্পিনারকে নেটে ব্যবহার করেছি। তাদের মধ্যে দু’জন লেগ স্পিনার। রিশাদ হোসেনের মতো বোলারও ছিল ওদের মধ্যে। এক জন কিছু দিন আগেই আইপএল খেলেছে। ব্যাটারদের সুবিধার জন্য বিসিবি সব করেছে, যা যা সম্ভব ছিল। ব্যাটারদের বুঝতে হবে অনুশীলন আর ম্যাচ এক নয়।’’ উল্লেখ্য, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই নিয়ে ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩টি হারলেন শাকিব আল হাসানরা।