গত বারও গুজরাতের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের নিলামে নজর ছিল মহম্মদ শামির দিকে। দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা শামিকে ধরে রাখেনি গুজরাত টাইটান্স। নিলামেও বাংলার পেসারের জন্য রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করেনি তারা। ১০ কোটি টাকায় শামিকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গুজরাতের প্রধান কোচ আশিস নেহরা জানিয়েছেন, শামিকে তাঁরা রাখতে চেয়েছিলেন। তা হলে কেন তাঁর জন্য রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করলেন না তাঁরা? সেই কারণ জানালেন নেহরা।
নিলামের আগে পাঁচ জন ক্রিকেটার ধরে রেখেছিল গুজরাত। অর্থাৎ, নিলামে এক জনের জন্য রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করতে পারত তারা। অনেকেই ভেবেছিলেন শামির জন্য সেটা করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুজরাত সরে দাঁড়ায়। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নেহরা বলেন, “শামি গত কয়েক বছর আমাদের হয়ে খুব ভাল খেলেছে। ওকে আমরা ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর যা দর হল সেটা আমাদের কাছে একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। তাই পরিকল্পনায় থাকলেও শামিকে নিতে পারিনি।”
শামিকে নিতে বেশ কয়েকটি দলের মধ্যে লড়াই চলে। শুরুটা করেঠিস কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। পরে সেখানে ঢুকে পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ কেনে শামিকে। লড়াইয়ে দেখা যায়নি গুজরাতকে? তারা কি রাইট টু ম্যাচের কথা ভেবেই শামির জন্য ঝাঁপায়নি? জবাবে নেহরা বলেন, “নিলামের আগে সব দলই পরিকল্পনা করে নামে। আমরাও নেমেছিলাম। কিন্তু সব পরিকল্পনা সফল হয় না। গুজরাতের হয়ে শামি যা খেলেছে তা সকলেই দেখেছে। কিন্তু এ বার আর ওকে নিতে পারলাম না।”
২০২৩ সালে ঘরের মাঠে এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে আর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি শামি। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা। কয়েক দিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন শামি। রঞ্জির পর এখন বাংলার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলছেন তিনি। ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির শেষ দিকে তাঁকে পাঠানো হতে পারে।