শার্দূল ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
লাল-বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে একসময় জায়গা করে নিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। সাদা বলের ক্রিকেটে পেসার অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য রয়েছেন। টেস্টে ছিলেন শার্দূল। কিন্তু এখন সেই জায়গায় নীতীশ কুমার রেড্ডি এসে গিয়েছেন। তবু হাল ছাড়তে নারাজ মুম্বইয়ের শার্দূল।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। মুম্বইয়ের ব্যাটারেরা একের পর এক জন খেলতে নামেন এবং আউট হয়ে ফিরে যান। শার্দূল ৫৭ বলে ৫১ রান না করলে আরও বড় লজ্জার মুখে পড়তে হত মুম্বইকে। ২০২৩ সালের পর আর ভারতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে নীতীশকে নিয়ে যাওয়া হয়। শার্দূল বলেন, “আমি ভাল ক্রিকেটার কি না, সেটা তো আর বলতে পারব না। অন্যদের বলতে হবে। তাদের দেখার কথা যে, কারও যদি প্রতিভা থাকে, তা হলে সুযোগ দেওয়া উচিত। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে ভাল লাগে আমার। পরিস্থিতি সহজ হলে সবাই ভাল খেলে। ভাল ক্রিকেটার চেনা যায় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। ভাবতে থাকি কী ভাবে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখান থেকে দলকে বার করা যায়।”
গত বছর রঞ্জি জিতেছিল মুম্বই। সে বার সেমিফাইনালে শতরান করেছিলেন শার্দূল। তাঁর শতরানে ভর করেই ১০৬ রানে ৭ উইকেট থেকে ৩৭৮ রানে পৌঁছেছিল মুম্বই। যার ফলে ইনিংস এবং ৭০ রানে জিতেছিলেন শার্দূলেরা। কিন্তু আইপিএলে অবিক্রিত থেকে যান ভারতীয় অলরাউন্ডার। কিন্তু সেই ঘটনা মনেই রাখতে চান না শার্দূল। তিনি বলেন, “আগে কী হয়েছে, সেটা মনে রাখলে চলবে না। কারণ সেটা পাল্টানো সম্ভব নয়। সব সময় বর্তমানে থাকতে হবে। ভাবতে হবে ভবিষ্যতের কথা।”